পাঠ-পরিচিতি
‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যাংশটুকু মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ-কাব্যে’-র ‘বধো’ (বধ) নামক ষষ্ঠ সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে। সর্বমোট নয়টি সর্গে বিন্যস্ত ‘মেঘনাদবধ-কাব্যে’র ষষ্ঠ সর্গে ল²ণের হাতে অন্যায় যুদ্ধে মৃত্যু ঘটে অসীম সাহসী বীর মেঘনাদের। রামচন্দ্র কর্তৃক দ্বীপরাজ্য স্বর্ণলঙ্কা আক্রান্ত হলে রাজা রাবণ শত্র“র উপর্যুপরি দৈব-কৌশলের কাছে অসহায় হয়ে পড়েন। ভ্রাতা কুম্ভকর্ণ ও পুত্র বীরবাহুর মৃত্যুর পর মেঘনাদকে পিতা রাবণ পরবর্তী দিবসে অনুষ্ঠেয় মহাযুদ্ধের সেনাপতি হিসেবে বরণ করে নেন। যুদ্ধজয় নিশ্চিত করার জন্য মেঘনাদ যুদ্ধযাত্রার পূর্বেই নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে ইষ্টদেবতা অগ্নিদেবের পূজা সম্পন্ন করতে মনস্থির করে। মায়া দেবীর আনুক‚ল্যে এবং রাবণের অনুজ বিভীষণের সহায়তায়, ল²ণ শত শত প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে প্রবেশে সমর্থ হয়। কপট ল²ণ নিরস্ত্র মেঘনাদের কাছে যুদ্ধ প্রার্থনা করলে মেঘনাদ বিস্ময় প্রকাশ করে। শত শত প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে ল²ণের অনুপ্রবেশ যে মায়াবলে সম্পন্ন হয়েছে, বুঝতে বিলম্ব ঘটে না তার। ইতোমধ্যে ল²ণ তলোয়ার কোষমুক্ত করলে মেঘনাদ যুদ্ধসাজ গ্রহণের জন্য সময় প্রার্থনা করে ল²ণের কাছে। কিন্তু ল²ণ তাকে সময় না দিয়ে আক্রমণ করে। এ সময়ই অকস্মাৎ যজ্ঞাগারের প্রবেশদ্বারের দিকে চোখ পড়ে মেঘনাদের; দেখতে পায় বীরযোদ্ধা পিতৃব্য বিভীষণকে। মুহূর্তে সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যায় তার কাছে। খুললতাত বিভীষণকে প্রত্যক্ষ করে দেশপ্রেমিক নিরস্ত্র মেঘনাদ যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে, সেই নাটকীয় ভাষ্যই ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ অংশে সংকলিত হয়েছে। এ অংশে মাতৃভ‚মির প্রতি ভালোবাসা এবং বিশ্বাসঘাতকতা ও দেশদ্রোহিতার বিরুদ্ধে প্রকাশিত হয়েছে ঘৃণা। জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব ও জাতিসত্তার সংহতির গুরুত্বের কথা যেমন এখানে ব্যক্ত হয়েছে তেমনি এর বিরুদ্ধে পরিচালিত ষড়যন্ত্রকে অভিহিত করা হয়েছে নীচতা ও বর্বরতা বলে।
উনিশ শতকের বাংলার নবজাগরণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাল্মীকি-রামায়ণকে নবমূল্য দান করেছেন এ কাব্যে। মানবকেন্দ্রিকতাই রেনেসাঁস বা নবজাগরণের সারকথা। ঐ নবজাগরণের প্রেরণাতেই রামায়ণের রাম-ল²ণ মধুসূদনের লেখনীতে হীনরূপে এবং রাক্ষসরাজ রাবণ ও তার পুত্র মেঘনাদ যাবতীয় মানবীয় গুণের ধারকরূপে উপস্থাপিত। দেবতাদের আনুক‚ল্যপ্রাপ্ত রাম-ল²ণ নয়, পুরাণের রাক্ষসরাজ রাবণ ও তার পুত্র মেঘনাদের প্রতিই মধুসূদনের মমতা ও শ্রদ্ধা।
‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যাংশটি ১৪ মাত্রার অমিল প্রবহমান যতিস্বাধীন অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত। প্রথম পঙ্ক্তির সঙ্গে দ্বিতীয় পঙ্ক্তির চরণান্তের মিলহীনতার কারণে এ ছন্দ ‘অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ নামে সমধিক পরিচিত। এ কাব্যাংশের প্রতিটি পঙ্ক্তি ১৪ মাত্রায় এবং ৮ + ৬ মাত্রার দুটি পর্বে বিন্যস্ত। লক্ষ করার বিষয় যে, এখানে দুই পঙ্ক্তির চরণান্তিক মিলই কেবল পরিহার করা হয়নি, যতিপাত বা বিরামচিহ্নের স্বাধীন ব্যবহারও হয়েছে বিষয় বা বক্তব্যের অর্থের অনুষঙ্গে। এ কারণে ভাবপ্রকাশের প্রবহমানতাও কাব্যাংশটির ছন্দের বিশেষ লক্ষণ হিসেবে বিবেচ্য।
কবি পরিচিতি
নাম মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ২৫ জানুয়ারি, ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দে।
জন্মস্থান : যশোর জেলার কেশবপুর থানাধীন সাগরদাঁড়ি গ্রাম।
পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : মহামতি মুনশী রাজনারায়ণ দত্ত
মাতার নাম : জাহ্নবী দেবী
মাধ্যমিক : এসএসসি (১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে), জিলা স্কুল, বগুড়া।
শিক্ষাজীবন
কলকাতার লালবাজার গ্রামার স্কুল, হিন্দু কলেজ এবং পরবর্তীতে বিশপস কলেজে ভর্তি হন। তিনি ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য বিলেতে গিয়েছিলেন।
কর্মজীবন/ পেশা প্রথম জীবনে আইন পেশায় জড়িত হলেও লেখালেখি করেই পরবর্তীতে জীবিকা নির্বাহ করেন।
সাহিত্য কর্ম
কাব্য : তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, মেঘনাদবধ কাব্য, ব্রজাঙ্গনা কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য, চতুর্দশপদী কবিতাবলি। তাছাড়া 'ঞযব ঈধঢ়ঃরাব খধফরব' ও 'ঠরংরড়হং ড়ভ ঃযব ঢ়ধংঃ' তাঁর ইংরেজি কাব্যগ্রন্থ।
নাটক : শর্মিষ্ঠা, পদ্মাবতী, কৃষ্ণকুমারী, মায়াকানন।
প্রহসন : একেই কি বলে সভ্যতা, বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ।
ইংরেজি নাটক ও নাট্যানুবাদ : রিজিয়া, রতœাবলি, শর্মিষ্ঠা, নীলদর্পণ।
গদ্য অনুবাদ : হেক্টর বধ।
জীবনাবসান মৃত্যু তারিখ : ২৯ জুন, ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে।
সমাধিস্থান : কলকাতার লোয়ার সার্কুলার রোড।
উৎস পরিচিতি
‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যাংশটুকু মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ-কাব্যে’র ‘বধো’ (বধ) নামক ষষ্ঠ সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে।
বস্তুসংক্ষেপ
‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যাংশটুকু ‘মেঘনাদবধ-কাব্যে’র বধো (বধ) নামক ষষ্ঠ সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে। এতে বিভীষণের বিশ্বাসঘাতকতা, ল²ণকে সহায়তা এবং ল²ণ কর্তৃক নিরস্ত্র মেঘনাদের ওপর আক্রমণের বিষয়গুলো প্রতিফলিত হয়েছে। রামচন্দ্র কর্তৃক দ্বীপরাজ্য স্বর্ণলঙ্কা আক্রান্ত হলে রাজা রাবণ অসহায় হয়ে পড়েন। ভাই কুম্ভকর্ণ এবং পুত্র বীরবাহুর মৃত্যুর পর রাবণ মেঘনাদের ওপর ভরসা করেন। ‘মেঘনাদ’ যুদ্ধযাত্রার পূর্বে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে ইষ্টদেবতা অগ্নিদেবের পূজা সম্পন্ন করতে মনস্থির করেন। এমতাবস্থায় মায়াদেবীর আনুক‚ল্যে এবং রাবণের অনুজ বিভীষণের সহায়তায় প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ল²ণ সেই যজ্ঞাগারে প্রবেশ করেন। হীন মানসিকতায় ল²ণ নিরস্ত্র মেঘনাদকে তার সাথে যুদ্ধ করতে আহŸান করেন এবং তরবারি কোষমুক্ত করেন। মেঘনাদ তখন যুদ্ধসাজ গ্রহণ করতে অস্ত্রাগারে প্রবেশ করতে চান, কিন্তু বিভীষণ অস্ত্রাগারের দ্বার আগলে রাখেন, তাকে কোনোভাবেই সেখানে ঢুকতে দেন না। এ সময় খুলতাত বিভীষণকে উদ্দেশ্য করে নিরস্ত্র মেঘনাদ যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন, সেই নাটকীয় ভাষ্যই ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ অংশে সংকলিত হয়েছে। রাবণের কনিষ্ঠ সহোদর বিভীষণের এহেন আচরণ মেঘনাদকে বিস্মিত ও মর্মাহত করে। মেঘনাদের মনে প্রশ্ন জাগেÑ বিভীষণ কী করে এমন হীন কাজ করতে পারলেন। নিকষা যার মা, কুম্ভকর্ণ যার ভাই, সে কিনা শত্র“কে পথ চিনিয়ে ঘরে নিয়ে এলেন, চণ্ডালকে রাজকক্ষে স্থান দিলেন। রামানুজকে শাস্তি দিতে অস্ত্রাগারে ঢুকতে দিচ্ছেন না আমাকে। তার মানে তিনি চান না যে মেঘনাদ স্বর্ণলঙ্কাকে শত্র“মুক্ত করে এর কালিমা মুছে ফেলুক। এ কাব্যাংশে মেঘনাদ বিভীষণকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন দ্বার ছেড়ে দাঁড়ানোর জন্য; কিন্তু বিভীষণ মেঘনাদের কোনো কথাতেই বিচলিত বা বিগলিত হন না। তিনি সকল, অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি কিছুতেই রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে যেতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। তখন মেঘনাদ আকাশের চাঁদ, রাজহংস, পঙ্কজকানন, শৈবালদল, সিংহ, শিয়াল প্রভৃতি অনুষঙ্গ ও উপমায় তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তিনি বিভীষণকে তার বংশমর্যাদা ও আভিজাত্যবোধ, অতীত ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে ল²ণকে সহায়তাদানের ভুল ভাঙাতে চান। কিন্তু বিভীষণ কিছুতেই তা মানতে চান না। বলেনÑ দেবতারা সবসময় পাপমুক্ত, লঙ্কাপুরী ধ্বংস হতে চলছে, এ অবস্থার জন্য মেঘনাদ নিজেই দায়ী। এতে তার কোনো দোষ নেই। রামচন্দ্রের কাছে আশ্রয় লাভ করে ধন্য। মেঘনাদ তখন বিভীষণের নীচ মানসিকতা এবং ল²ণের অন্যায় আক্রমণের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেন। এভাবে বিভীষণের প্রতি মেঘনাদের অনুরোধ, ক্ষোভ এবং স্বদেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যাংশে।
নামকরণের সার্থকতা যাচাই
নামকরণ : বাংলা সাহিত্যের আধুনিকতার পথিকৃৎ মাইকেল মধুসূদন দত্তের (১৮২৪-১৮৭৩) সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি ‘মেঘনাদবধ’ -কাব্য (১৮৬১)। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ‘মেঘনাদবধ-কাব্য’ প্রথম সার্থক মহাকাব্য। নয়টি সর্গে বিভাজিত কাব্যটির মূল আখ্যায়িকা রামায়ণ হতে গৃহীত। রামানুজ ল²ণ কর্তৃক রাবণপুত্র মেঘনাদ নিধনের কাহিনি কবি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচনা করেছেন। সুতরাং ‘মেঘনাদবধ-কাব্যে’র এ অংশের নামকরণ ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ যথার্থ হয়েছে।
সার্থকতা : ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যাংশটুকু ‘মেঘনাদবধ-কাব্যে’র ‘বধো’ (বধ) নামক ষষ্ঠ সর্গ থেকে নেয়া হয়েছে। এখানে ল²ণের হাতে অসীম সাহসী বীর মেঘনাদের মৃত্যুর বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। মেঘনাদের এই পরাজয় ও মৃত্যুর জন্য রাবণের কনিষ্ঠ সহোদর বিভীষণ দায়ী। কারণ বিভীষণ এবং মায়াদেবীর সহায়তায় ল²ণ শত শত প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে প্রবেশ করতে পেরেছেন। যেখানে মেঘনাদ ইষ্টদেবতা অগ্নিদেবের পূজা সম্পন্ন করতে প্রস্তুত। সেই নিরস্ত্র অবস্থায় সশস্ত্র ল²ণ তাকে যুদ্ধের আহŸান করেন এবং আক্রমণ চালান। মেঘনাদ ইষ্টদেবতা অগ্নিদেবের পূজা সম্পন্ন করতে প্রস্তুত। সেই নিরস্ত্র অবস্থায় সশস্ত্র ল²ণ তাকে যুদ্ধের আহŸান করেন এবং তার উপর আক্রমণ চালান। মেঘনাদ যুদ্ধের সাজ গ্রহণের জন্য অস্ত্রাগারে প্রবেশ করতে চাইলে সেখানে পিতৃব্য বিভীষণ দ্বার আগলে রাখেন। এমতাবস্থায় বিস্মিত ও মর্মাহত হয়ে মেঘনাদ বিভীষণের অন্যায় আচরণ ও শত্র“র পক্ষ নেয়া যে মোটেই উচিত হয় নি তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তার সমস্ত চেষ্টাই ব্যর্থ করে দেন বিভীষণ। এখানে মেঘনাদ মূলত বিভীষণের প্রতিই তার আবেদন, নিবেদন, অনুরোধ এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কাজেই ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ নামকরণ সার্থক হয়েছে।
শব্দার্থ ও টীকা
বিভীষণ রাবণের কনিষ্ঠ সহোদর। রাম-রাবণের যুদ্ধে স্বপক্ষ ত্যাগকারী। রামের ভক্ত।
‘এতক্ষণে’অরিন্দম কহিলা রুদ্ধদ্বার নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে ল²ণের অনুপ্রবেশের অন্যতম কারণ যে পথপ্রদর্শক বিভীষণ, তা অনুধাবন করে বিস্মিত ও বিপন্ন মেঘনাদের প্রতিক্রিয়া।
অরিন্দম অরি বা শত্র“কে দমন করে যে। এখানে মেঘনাদকে বোঝানো হয়েছে।
পশিল প্রবেশ করল।
রক্ষঃপুরে রাক্ষসদের পুরীতে বা নগরে। এখানে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে।
রক্ষঃশ্রেষ্ঠ Ñ রাক্ষুসকুলের শ্রেষ্ঠ, রাবণ।
তাত পিতা। এখানে পিতৃব্য বা চাচা অর্থে।
নিকষা রাবণের মা।
শূলীশম্ভুনিভ শূলপাণি মহাদেবের মতো।
কুম্ভকর্ণ রাবণের মধ্যম সহোদর।
বাসববিজয়ী দেবতাদের রাজা ইন্দ্র বা বাসবকে জয় করেছে যে। এখানে মেঘনাদ। একই কারণে মেঘনাদের অপর নাম ইন্দ্রজিৎ।
তস্কর চোর।
গঞ্জি তিরস্কার করি।
রামানুজ রাম+অনুজ = রামানুজ। এখানে রামের অনুজ ল²ণকে বোঝানো
হয়েছে।
শমন-ভবনে যমালয়ে।
ভঞ্জিব আহবে যুদ্ধ দ্বারা বিনষ্ট করব।
আহবে যুদ্ধে।
ধীমান্ ধীসম্পন্ন। জ্ঞানী।
রাঘব রঘুবংশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। এখানে রামচন্দ্রকে বোঝানো হয়েছে।
রাঘবদাস রামচন্দ্রের আজ্ঞাবহ।
রাবণি রাবণের পুত্র। এখানে মেঘনাদকে বোঝানো হয়েছে।
স্থাপিলা বিধুরে বিধি
স্থাণুর ললাটে বিধাতা চাঁদকে আকাশে নিশ্চল করে স্থাপন করেছেন।
বিধু চাঁদ।
স্থাণু নিশ্চল।
রক্ষোরথী রক্ষকুলের বীর।
রথী রথচালক। রথচালনার মাধ্যমে যুদ্ধ করে যে।
শৈবালদলের ধাম পুকুর। বদ্ধ জলাশয়।
শৈবাল শেওলা।
মৃগেন্দ্র কেশরী কেশরযুক্ত পশুরাজ সিংহ।
মৃগেন্দ্র পশুরাজ সিংহ।
কেশরী কেশরযুক্ত প্রাণী। সিংহ।
মহারথী মহাবীর। শ্রেষ্ঠ বীর।
মহারথী প্রথা শ্রেষ্ঠ বীরদের আচরণ-প্রথা।
সৌমিত্রি ল²ণ। সুমিত্রার গর্ভজাত সন্তান বলে ল²ণের অপর নাম সৌমিত্রি।
নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগার লঙ্কাপুরীতে মেঘনাদের যজ্ঞস্থান। এখানে যজ্ঞ করে মেঘনাদ যুদ্ধে যেত। ‘মেঘনাদবধ-কাব্যে’ যুদ্ধযাত্রার প্রাক্কালে নিরস্ত্র মেঘনাদ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে ইষ্টদেবতা বৈশ্বানর বা অগ্নিদেবের পূজারত অবস্থায় ল²ণের হাতে অন্যায় যুদ্ধে নিহত হয়।
প্রগলভে নির্ভীক চিত্তে।
দম্ভী দম্ভ করে যে। দাম্ভিক।
নন্দন কানন স্বর্গের উদ্যান।
মহামন্ত্র-বলে যথা
ন¤্রশিরঃ ফণী মন্ত্রপূত সাপ যেমন মাথা নত করে।
লক্ষি লক্ষ করে।
ভর্ৎস ভর্ৎসনা বা তিরস্কার করছ।
মজাইলা বিপদগ্রস্ত করলে।
বসুধা পৃথিবী।
তেঁই তজ্জন্য । সেহেতু।
রুষিলা রাগান্বিত হলো।
বাসবত্রাস বাসবের ভয়ের কারণ যে মেঘনাদ।
মন্ত্র শব্দ। ধ্বনি।
জীমূতেন্দ্র মেঘের ডাক বা আওয়াজ।
বলী বলবান। বীর।
জলাঞ্জলি সম্পূর্ণ পরিত্যাগ।
শাস্ত্রে বলে, ...পর
পরঃ সদা! শাস্ত্রমতে গুণহীন হলেও নির্গুণ স্বজনই শ্রেয়, কেননা গুণবান হলেও পর সর্বদা পরই থেকে যায়।
নীচ হীন। নিকৃষ্ট। ইতর।
দুর্মতি অসৎ বা মন্দ বুদ্ধি।
বানান সতর্কতা
ল²ণ, নিকষা, রক্ষঃশ্রেষ্ঠ, শূলিশম্ভুনিভ, কুম্ভকর্ণ, তস্কর, চণ্ডাল, গঞ্জি, পিতৃতুল্য, অস্ত্রাগারে, লঙ্গা, কলঙ্গ, ভঞ্জির, ধীমান, স্থাণু, রক্ষোরথি, পঙ্কজ, মৃগেন্দ্র কেশরী, সম্ভাষে, শূর, সম্বোধে, সৌমিত্রি, স্বচক্ষে, নিকুম্ভিলা, যজ্ঞাগার, প্রগলভ, দম্ভী, বিধাতঃ ভ্রাতৃপুত্র, নম্রশিরঃ, ফণী, রুষিলা, জীমূতেন্দ্র, বলী, রাক্ষসবাজানুজ, জ্ঞাতিত্ব, জলাঞ্জলি, শ্রেয়ঃ, রক্ষোবর।
অনুশীলন অংশ (চৎধপঃরপব)
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
শপথ নিয়েও পলাশীর প্রান্তরে প্রধান সেনাপতি মিরজাফর যুদ্ধে অংশ নেননি। রায়দুর্লভ, উমিচাঁদ, জগৎ শেঠ যুদ্ধে অসহযোগিতা করেছেন। মোহনলাল ও মিরমদন বিশ্বাসঘাতক হননি। নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হয়েছেন। মির জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছে।
ক. কাকে রাবণি বলা হয়েছে?
খ. ‘প্রফুল কমলে কীটবাস’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার সঙ্গে যে দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণÑ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার আংশিকরূপায়ণ মাত্র।”Ñ মূল্যায়ন কর। ১
২
৩
৪
১ নং প্রশ্নের উত্তর
রাবণের পুত্র মেঘনাদকে রাবণি বলা হয়েছে।
‘প্রফুল কমলে কীটবাস’ বলতে উঁচু বংশে জন্মগ্রহণ করেও বিশ্বাসঘাতকতা এবং হীন ব্যক্তিদের সাথে আঁতাত করার জন্য বিভীষণের হীন স্বভাবকে বোঝানো হয়েছে।
‘মেঘনাদবধ-কাব্যে’র ষষ্ঠ সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতা। এখানে রামানুজ ল²ণ কর্তৃক রাবণপুত্র মেঘনাদ নিধনের কাহিনী কবি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচনা করেছেন। রামচন্দ্র দ্বীপরাজ্য স্বর্ণলঙ্কা আক্রমণ করলে সেখানকার রাজা রাবণ সম্মুখযুদ্ধে ভাই কুম্ভকর্ণ এবং পুত্র বীরবাহুকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। তখন অসীম সাহসী বীর পুত্র মেঘনাদকে সেনাপতি করে পরবর্তী দিনের যুদ্ধ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। মেঘনাদ যুদ্ধযাত্রার আগে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে ইষ্টদেবতা অগ্নিদেবের পূজা সম্পন্ন করার জন্য মনস্থির করে। সেখানে মায়াদেবীর আনুকূল্যে এবং বিভীষণের সহায়তায় ল²ণ প্রবেশ করে নিরস্ত্র মেঘনাদকে আক্রমণ করে। মেঘনাদ তখন পিতৃব্য বিভীষণকে নানাভাবে বুঝিয়ে অস্ত্রাগারে যাওয়ার অনুমতি চাইল। কিন্তু বিভীষণ দ্বার ছেড়ে দাঁড়াল না। বরং সে যে রাঘবের দাস তা জানিয়ে দিল। তখন ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে মেঘনাদ আলোচ্য উক্তিটি করেছে।
উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার বিভীষণের বিশ্বাসঘাতকতা ও দেশদ্রোহিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
স্বদেশের প্রতি ভালোবাসা মানুষকে মহৎ করে। মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগে উৎসাহিত করে। মানবকল্যাণের ব্রত নিয়ে সৃষ্টিশীল মানুষ সমস্ত বাধা-বিঘœ অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে চলে। স্বদেশের স্বার্থে একজন দেশপ্রেমিক প্রয়োজনে প্রাণবিসর্জন দিতেও কুণ্ঠিত হয় না। যারা স্বদেশকে ভালোবাসে না, তারা বিশ্বাসঘাতক, দেশদ্রোহী।
উদ্দীপকে ১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন পলাশির আম্রকাননে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ও বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য অস্তমিত হওয়ার মূল ঘটনাটির সংক্ষিপ্ত উপস্থাপন লক্ষ করা যায়। এখানে মিরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতা এবং মোহনলাল ও মিরমদনের স্বাদেশিকতার বিষয়টি প্রতিফলিত। উদ্দীপকে মিরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতার দিকটি আলোচ্য ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় প্রতিফলিত বিভীষণের বিশ্বাসঘাতকতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ বিভীষণের বিশ্বাসঘাতকতা এবং দেশদ্রোহিতার কারণেই মেঘনাদকে নিরস্ত্র অবস্থায় বধ করতে সক্ষম হয়েছিল রামানুজ ল²ণ। অস্ত্রাগারে প্রবেশ করে যুদ্ধের সাজ গ্রহণের জন্য অনুরোধ সত্তে¡ও বিভীষণ দ্বার ছেড়ে দাঁড়ায়নি। সে জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব, জাতি সবকিছুকেই জলাঞ্জলি দিয়েছে।
“উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার আংশিক রূপায়ণ মাত্র।”Ñমন্তব্যটি যথার্থ।
উদ্দীপকের পলাশির যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় এবং বাংলার স্বাধীনতা সূর্যের অস্তমিত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে নবাবের সাথে মিরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতা এবং ধনুকুবেরদের অসহযোগিতাকে নির্দেশ করা হয়েছে। এ বিষয়টি ‘মেঘনাদবধ’ মহাকাব্যে মায়াদেবীর দৈবকৌশল এবং বিভীষণের বিশ্বাসঘাতকতার সাথে একসূত্রে গাঁথা।
‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতাটিতে মাইকেল মধুসূদন দত্ত বিভীষণের বিশ্বাসঘাতকতা এবং ল²ণের নির্মমতার এবং মেঘনাদের’ স্বদেশপ্রেম তুলে ধরা হয়েছে। স্বর্ণলঙ্কাপুরীকে রামচন্দ্রের হাত থেকে বাঁচাতে এবং যুদ্ধজয় নিশ্চিত করতে মেঘনাদ প্রস্তুত হয়। যুদ্ধে যাওয়ার আগে মেঘনাদ ইষ্টদেবতা অগ্নিদেবের পূজা সম্পন্ন করার জন্য নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে প্রবেশ করে। সেখানে মায়াদেবীর মায়াবলে এবং বিভীষণের সহায়তায় রামানুজ ল²ণ উপস্থিত হয়। ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় ল²ণ নিরস্ত্র মেঘনাদকে তার সাথে যুদ্ধ করার জন্য আহŸান করে। মেঘনাদ অস্ত্রাগারে ঢুকে যুদ্ধের সাজ আর অস্ত্র নিয়ে আসতে চাইলে বিভীষণ তাকে বাধা দেয়।
মেঘনাদ স্বর্ণলঙ্কাপুরী তার স্বদেশের প্রতি গভীর অনুরাগ আর ভালোবাসা প্রকাশ করে। বিভীষণকে তার শত্র“ুর মোকাবিলা করার জন্য অনুরোধ করে দ্বার ছেড়ে দেয়ার। সুতরাং দেখা যায়, ঘটনাপ্রবাহে উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার আংশিক রূপায়ণ মাত্র। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
স্বদেশের তরে নাহি যার মন/কে বলে মানুষ তারে পশু সেই জন। এটি মানুষকে ধর্ম, বর্ণ, জাতিগত সকল সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত করে। একজন যথার্থ দেশপ্রেমিক নিজের স্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখে। দেশপ্রেমিক তাঁর মেধায়, মননে,
চিন্তাচেতনায়, কথায় ও কর্মে দেশকে সর্বোচ্চ মর্যাদার আসনে স্থান দেন।
ক. মেঘনাদের অপর নাম কী?
খ. “তব জন্মপুরে, তাত, পদার্পণ করে বনবাসী।” ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের মূলভাব এবং ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় প্রতিফলিত মেঘনাদের মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা একসূত্রে গাঁথা।” মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর। ১
২
৩
৪
২ নং প্রশ্নের উত্তর
মেঘনাদের অপর নাম ইন্দ্রজিৎ।
“তব জন্মপুরে, তাত, পদার্পণ করে বনবাসী।”Ñ উক্তিটি মেঘনাদ করেছে তার পিতৃব্য বিভীষণকে উদ্দেশ্য করে। এখানে ল²ণকে বনবাসী হিসেবে নির্দেশ করা হয়েছে।
রামচন্দ্র কর্তৃক দ্বীপরাজ্য স্বর্ণলঙ্কা আক্রান্ত হলে রাজা রাবণ শত্র“র উপর্যুপরি দৈব কৌশলের কাছে অসহায় হয়ে পড়েন। ভাই কুম্ভকর্ণ ও পুত্র বীরবাহুর মৃত্যুর পর মেঘনাদকে তিনি পরবর্তী দিবসে অনুষ্ঠেয় মহাযুদ্ধের সেনাপতি হিসেবে বরণ করে নেন। যুদ্ধজয় নিশ্চিত করার জন্য মেঘনাদ যুদ্ধযাত্রার আগেই নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে ইষ্টদেবতা অগ্নিদেবের পূজা সম্পন্ন করতে মনস্থির করে। ল²ণ মায়াদেবীর আনুক‚ল্যে এবং রাবণের অনুজ বিভীষণের সহায়তাপ্রাপ্তি হয় বলে মেঘনাদ দুঃখ করে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করে।
উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় প্রতিফলিত জন্মভূমির প্রতি মেঘনাদের গভীর অনুরাগের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
জন্মভূমি প্রত্যেক মানুষের কাছেই পরম শ্রদ্ধার বস্তু। স্বদেশের মাটি, পানি, আলো-বাতাসেই মানুষ বেড়ে ওঠে। স্বপ্ন দেখে, স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ছুটে বেড়ায় নানা দিকে। দিন শেষে পাখি যেমন ফিরে আসে তার শান্তির নীড়ে মানুষও তেমনি নানা দেশ ঘুরে স্বদেশের মাটিতেই শেষ আশ্রয় নিতে চায়।
উদ্দীপকে স্বদেশের প্রতি মানুষের অনুরাগ ও ভালোবাসার পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। মানুষের জীবনের মহত্তম কাজের মধ্যে স্বদেশ অন্যতম একটি। মানব-কল্যাণের মূলেও স্বদেশের প্রতি গভীর মনোযোগ ও ভালোবাসাকেই নির্দেশ করা হয়। উদ্দীপকের লেখকের স্বদেশপ্রেমের বর্ণনা আলোচ্য ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় প্রতিফলিত, স্বদেশের প্রতি মেঘনাদ-এর অনুরাগের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। মেঘনাদ সেখানে রামানুজ ল²ণকে হত্যা করে স্বর্ণলঙ্কার কলঙ্ক ও কালিমা মোচন করতে চেয়েছেন।
উদ্দীপকের মূলভাব এবং ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় প্রতিফলিত মেঘনাদের মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা একসূত্রে গাঁথা।Ñমন্তব্যটি যথার্থ।
একজন মানুষের জীবনে তার মা যেমন পরিচিত, তেমনি স্বদেশও পরিচিত। মানুষের সাথে সন্তানের যেরূপ হৃদ্যতা গড়ে ওঠে, দেশের সাথেও তার অনুরূপ হৃদ্যতা গড়ে ওঠে। একজন মানুষের সামগ্রিক জীবনের বিকাশে তার স্বদেশ প্রকৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুস্থ চিন্তা-চেতনাসম্পন্ন প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই স্বদেশপ্রীতি রয়েছে।
উদ্দীপকে স্বদেশের প্রতি মানুষের অনুরাগ প্রসঙ্গে যে বক্তব্য উপস্থাপিত হয়েছে তাতে স্বদেশানুরাগের গভীর চিন্তার প্রতিফলন ঘটেছে। একজন দেশপ্রেমিক কীভাবে তার দেশের জন্য আত্মত্যাগ করতে পারেন তা সেখানে তুলে ধরা হয়েছে। উদ্দীপকের এই বক্তব্যের চেতনা আলোচ্য ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় প্রতিফলিত মেঘনাদের স্বদেশ চেতনার সাথে অভিন্ন ধারায় প্রবাহিত।
মেঘনাদ অসীম সাহসী বীর। তিনি তার প্রিয় ভূমিকে মুক্ত করতে চেয়েছেন। স্বর্ণলঙ্কাকে শত্র“র কালো থাবার ছায়া থেকে মুক্ত করতে চেয়েছেন। এখানে মেঘনাদ তার আত্মত্যাগের মাধ্যমে প্রিয় জন্মভূমিকে মুক্ত করার স্বপ্ন দেখেছেন। এভাবে উদ্দীপকটির মূলভাব আলোচ্য কবিতায় প্রতিফলিত মেঘনাদের স্বদেশ প্রীতির সাথে একসূত্রে গাঁথা।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এদেশের বীর-সন্তানেরা। মাতৃভূমিকে শত্র“মুক্ত করতে তারা অস্ত্র হাতে বীরদর্পে যুদ্ধ করেছে।
ক. ‘ধীমান’ শব্দের অর্থ কী?
খ. নিজ গৃহ পথ, তাত, দেখাও তস্করে?/চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার কোন বিষয়টির সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার একটি বিশেষ ঘটনার বিপরীত চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে।Ñবিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
৩ নং প্রশ্নের উত্তর
‘ধীমান’ শব্দের অর্থ ধীসম্পন্ন বা জ্ঞানী।
নিজ গৃহ পথ, তাত, দেখাও তস্করে?/চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে? উক্তিটি আত্মক্ষোভে মেঘনাদ বিশ্বাসঘাতক বিভীষণকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল। চণ্ডালে বলতে এখানে রামানুজ ল²ণকে বোঝানো হয়েছে।
‘মেঘনাদবধ’ মহাকাব্যে রামচন্দ্র ¯¦র্ণলঙ্কা আক্রমণ করলে রাজা রাবণ তাঁর দ্বীপ রাজ্য ¯¦র্ণলঙ্কা রক্ষার জন্য যুদ্ধে লিপ্ত হন, সে যুদ্ধে ভাই কুম্ভকর্ণ এবং পুত্র বীরবাহুর মৃত্যু হলে মেঘনাদকে সেনাপতি নির্বাচিত করেন। পরবর্তী দিন যুদ্ধে যাওয়ার আগে মেঘনাদ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে অগ্নিদেবের পূজা করতে মনস্থির করে। মায়াদেবীর দৈবকৌশলে এবং তার খুলতাত বিভীষণের সহায়তায় সেই যজ্ঞাগারে প্রবেশ করে রামানুজ ল²ণ সেখানে নিরস্ত্র মেঘনাদকে আক্রমণ করে। মেঘনাদ অস্ত্রাগারে প্রবেশ করতে চাইলে বিভীষণ তাকে বাধা দেয় এবং দ্বার রোধ করে রাখে। এ অবস্থায় মেঘনাদ আলোচ্য উক্তিটি করেছিলেন।
উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় নিরস্ত্র মেঘনাদের ওপর ল²ণের সশস্ত্র আক্রমণের বিষয়টির সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
যুদ্ধের সময় অন্যায়ভাবে শত শত বেসামরিক নিরস্ত্র লোককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। যা অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বহু নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনী। মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্রহাতে বীরদর্পে তাদের প্রতিহত করেছে।
উদ্দীপকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি খণ্ডচিত্র উপস্থাপিত হয়েছে। এখানে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা বলা হয়েছে। আর সেই বর্বর হানাদাার বাহিনীকে পরাজিত করে মাতৃভূমিকে শত্র“মুক্ত করতে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। উদ্দীপকে এই অস্ত্র হাতে শত্র“র মোকাবিলা এবং প্রিয় জন্মভূমিকে শত্র“মুক্ত করার যে বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে তা আলোচ্য ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার মেঘনাদের ওপর ল²ণের আক্রমণের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ, মেঘনাদ যখন নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে অগ্নিদেবের পূজা করতে গিয়েছেন তখন সেখানে নিরস্ত্র অবস্থায় তাকে আক্রমণ করা হয়। তিনি অস্ত্রাগারে গিয়ে যুদ্ধের সাজে সজ্জিত হতে চাইলে তাকে সেই সুযোগ দেয়া হয়নি।
উদ্দীপকে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার একটি বিশেষ ঘটনার বিপরীত চিত্র প্রতিফলিত হয়েছেÑ মন্তব্যটি যথার্থ।
যুদ্ধ মানুষের জন্য সার্বিক অকল্যাণ ডেকে আনে। যুদ্ধের ফলে মানুষ পৃথিবীতে অভিশপ্ত জীবনযাপন করে। আত্মস্বার্থ, লোভ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার ও অহংবোধই যুদ্ধের মূল কারণ।
উদ্দীপকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি খণ্ডচিত্র উপস্থাপিত হয়েছে। এখানে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা বলা হয়েছে। আর সেই বর্বর হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মাতৃভূমিকে শত্র“মুক্ত করতে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। উদ্দীপকে এই অস্ত্র হাতে শত্র“র মোকাবিলা এবং প্রিয় জন্মভূমিকে শত্র“মুক্ত করার যে বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে তা আলোচ্য ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার মেঘনাদের ওপর ল²ণের আক্রমণের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ, মেঘনাদ যখন নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে অগ্নিদেবের পূজা করতে গিয়েছিলেন তখন সেখানে নিরস্ত্র অবস্থায় তাকে আক্রমণ করা হয়। তিনি অস্ত্রাগারে গিয়ে যুদ্ধের সাজে সজ্জিত হতে চাইলে তাকে সে সুযোগ দেয়া হয়নি।
আলোচ্য ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় মেঘনাদ অস্ত্রধারণ করার সুযোগ পায়নি। কারণ নিরস্ত্র অবস্থায় মহারথী প্রথা ভেঙে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এভাবে উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার এই বিশেষ বিষয়টির বিপরীত চিত্রকে প্রতিফলিত করেছে।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
এখানে প্রকৃতি তার স্বাভাবিক বিন্যাস ও বৈচিত্র্য সৌন্দর্যের এক অপরূপ ছবি এঁকেছে। এমন রৌদ্রদীপ্ত উজ্জ্বল দিন আর জ্যোৎস্নালোকিত স্নিগ্ধ রাত্রি কোথায় পাব? এমন দিগন্তজোড়া শ্যামল শোভা আর ছায়াঘন বনরাজির তুলনা কোথায়? কোথায় মেলে এমন তরঙ্গভঙ্গে উদ্বেল পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, কপোতাক্ষ-কর্ণফুলি, সুরমা-গোমতী অথবা হাকালুকি হাওর, চলন বিল? কোথায় দৃষ্টি কাড়ে কাজলকালো বিল আর দিঘির জলে ফুটে থাকা অযুত শাপলার সৌন্দর্য, বাতাসে দোল খাওয়া সরষে ফুলের ফুলকিমালা? প্রকৃতি এখানে অকৃপণ, তার নানা উপাচারে ভরে দিয়েছে এদেশের মানুষের জীবন। গ্রামবাংলার প্রকৃতি নিটোল সৌন্দর্যের আধার।
ক. নন্দন কানন কী?
খ. “ছাড় দ্বার, যাব অস্ত্রাগারে/পাঠাইব রামানুজে শমন ভবনে,/লঙ্কার কলঙ্ক আজি ভঞ্জিব আহবে।” ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “মিল থাকলেও উদ্দীপকের মূলভাব এবং ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার মূলভাব এক নয়।” মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর। ১
২
৩
৪
৪ নং প্রশ্নের উত্তর
নন্দন কানন হচ্ছে স্বর্গের উদ্যান।
“ছাড় দ্বার, যাব অস্ত্রাগারে/পাঠাইব রামানুজে শমন ভবনে,/লঙ্কার কলঙ্ক আজি ভঞ্জিব আহবে।”Ñকথাগুলো মেঘনাদ বলেছেন বিশ্বাসঘাতক বিভীষণকে উদ্দেশ্য করে।
‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ যুদ্ধযাত্রার আগে মেঘনাদ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে ইষ্টদেবতা অগ্নিদেবের পূজা সম্পন্ন করতে মনস্থির করলেন। কিন্তু মায়াদেবীর আনুক‚ল্যে এবং রাবণের অনুজ বিভীষণের সহায়তায় শত শত প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সেই যজ্ঞাগারে প্রবেশ করে রামানুজ ল²ণ। সেখানে ল²ণ নিরস্ত্র মেঘনাদকে তার সাথে যুদ্ধের আহŸান করে এবং তরবারি কোষমুক্ত করে আক্রমণ করে। সেই আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য মেঘনাদ অস্ত্রাগারে যাওয়ার জন্য বিভীষণকে অনুরোধ করেন। কারণ বিভীষণ অস্ত্রাগারের দ্বার রোধ করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ প্রসঙ্গে মেঘনাদ বিভীষণকে আলোচ্য কথাগুলো বলেছেন।
উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার লঙ্কাপুরীর সৌন্দর্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। তার রূপ সৌন্দর্যে কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, জ্ঞানী-গুণী সকলেই মুগ্ধ। যুগ যুগ ধরে বিদেশি পর্যটকরা বাংলার অপরূপ রূপে মুগ্ধ হয়েছেন। যুদ্ধবিগ্রহের পরও বাংলাদেশ তার আপন সৌন্দর্যে অম্লান।
উদ্দীপকে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। এদেশের প্রকৃতি যেন বৈচিত্র্যময় মনোলোভা সৌন্দর্যের খনি। এর রৌদ্রময় উজ্জ্বল দিন, স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নামাখা রাত, ছায়াঘন-বনবনানী, নদীর রুপালি ঢেউয়ের হাসি ইত্যাদির তুলনা নেই। এদেশের দিঘির জলে ফুটে থাকা অযুত শাপলার শোভা, মাঠে মাঠে হাওয়ার দোলা, সর্ষে ফুলের অফুরন্ত সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে। উদ্দীপকের এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আলোচ্য ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় প্রতিফলিত সৌন্দর্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
“মিল থাকলেও উদ্দীপকের মূলভাব এবং ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার মূলভাব এক নয়।” মন্তব্যটি যথার্থ।
এদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের তুলনা নেই। বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্য সম্পদের দিক দিয়ে বাংলাদেশ অনন্য অসাধারণ। এদেশের তরুলতা, নদ-নদী, আকাশের চাঁদ, পাহাড়-পর্বত, পাখ-পাখালি সবকিছু মানুষকে মুগ্ধ করে।
উদ্দীপকে বাংলাদেশের রূপ-বৈচিত্র্যের বিষয়টি বর্ণনা করা হয়েছে। এই বর্ণনায় বাংলার নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিকটি উঠে এসেছে। বাংলার নদী-নালা, ফুল-ফল, পাহাড়-পর্বত সবকিছু কবিকে মুগ্ধ করে। এই মুগ্ধতার এত সহজ প্রকাশ ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় স্বর্ণলঙ্কার সৌন্দর্যের এমন সহজ প্রকাশ লক্ষ করা যায় না। কারণ সেখানে মুখ্য বিষয় রামচন্দ্র কর্তৃক দ্বীপরাজ্য দখলের চেষ্টা এবং রাবণের তা প্রতিহত করার চেষ্টা। ফলে তাদের মধ্যে যুদ্ধ। অন্যদিকে উদ্দীপকে শুধু সৌন্দর্যের সহজ প্রকাশ স্পষ্ট, সেখানে যুদ্ধবিগ্রহের চিহ্ন নেই।
বীরযোদ্ধা পিতৃব্য বিভীষণের বিশ্বাসঘাতকতা, ল²ণকে সহযোগিতা করে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে নিয়ে আসা এবং মেঘনাদকে অস্ত্রাগারে ঢুকতে না দেয়া ইত্যাদি ঘটনা আছে, যা আলোচ্য উদ্দীপকে নেই। এসব দিক বিবেচনা করে তাই বলা হয়েছে, মিল থাকলেও উদ্দীপকের মূলভাব এবং ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার মূলভাব এক নয়।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
শরীফ ও সফিকের মধ্যে লড়াই চলাকালে শরীফ সফিককে দুইবার পরাস্ত করেও হত্যা করেন নি। কারণ ইরানের যুদ্ধনীতি অনুযায়ী তিনবার পরাস্ত না করে কাউকে হত্যা করা যায় না। কিন্তু সফিক শরীফকে একবার পরাস্ত করেই বুকের ওপর তরবারি বসিয়ে দেন। শরীফ আর্তনাদ করে বলেন, তুমি অন্যায়ভাবে আমাকে হত্যা করছো।
ক. রাজহংস কোথায় কেলি করে?
খ. ল²ণকে দুর্বল মানব বলে অভিহিত করা হয়েছে কেন?
গ. উদ্দীপকের সফিক ও ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় ল²ণ কোন দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ? আলোচনা কর।
ঘ. উদ্দীপকের সফিক ও ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার ল²ণ, দু’জনেই বীর হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেও বীরধর্মের অবমাননা করেছেনÑমন্তব্যটির মূল্যায়ন কর। ১
২
৩
৪
৫ নং প্রশ্নের উত্তর
রাজহংস স্বচ্ছ সরোবরে কেলি করে।
অস্ত্রহীন মেঘনাদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ করার কারণে ল²ণকে দুর্বল মানব হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
রাক্ষসপুরীর পরাক্রমশালী বীর মেঘনাদের বক্তব্য অনুযায়ী ল²ণ অতি দুর্বলচিত্তের মানব। কেননা, তিনি চোরের মতো লুকিয়ে যজ্ঞাগারে প্রবেশ করে অস্ত্রহীন মেঘনাদকে যুদ্ধে আহŸান জানিয়েছেন। অথচ বীরের ধর্ম হলো অস্ত্রহীন কারো সাথে সংগ্রামে লিপ্ত না হওয়া। ল²ণের কাপুরুষোচিত বৈশিষ্ট্যের কারণেই তাকে দুর্বল মানব হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
দুর্বলকে অন্যায়ভাবে আঘাত করার দিক থেকে উদ্দীপকের সফিক ও ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার ল²ণ সাদৃশ্যপূর্ণ।
বীরের ধর্ম হলো পৌরুষ প্রদর্শন করা। কূট-কৌশলে শত্র“কে পরাস্ত করা বীরধর্মের জন্য কলঙ্কজনক। আলোচ্য কবিতায় ল²ণ যেভাবে নিরস্ত্র মেঘনাদকে আক্রমণ করে হত্যা করে তা কাপুরুষোচিত কাজ।
উদ্দীপকের শরীফ ও সফিক দুই যোদ্ধার পরিচয় পাওয়া যায়। এ দুই বীরের যুদ্ধে শরীফকে সফিক অন্যায়ভাবে হত্যা করেন। কারণ ইরানে যুদ্ধনীতি অনুযায়ী শত্র“কে তৃতীয়বার পরাস্ত করতে পারলেই হত্যা করা যাবে। কিন্তু সফিক এ নিয়ম ভঙ্গ করেন। ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতাতেও দেখা যায়, ল²ণ নিরস্ত্র মেঘনাদকে আঘাত করেন, যা প্রকৃত বীরের ধর্মবিরুদ্ধ এবং যা উদ্দীপকের সফিকের চরিত্রের অনুরূপ।
উদ্দীপকের সফিক ও ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার ল²ণ, দু’জনেই বীর হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেও বীরধর্মের অবমাননা করেছেনÑমন্তব্যটি যথার্থ।
বীর মানেই যিনি অসীম সাহসী-যিনি যুদ্ধে অপকৌশলের পরিবর্তে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হয়ে সাহসিকতার সঙ্গে শত্র“কে মোকাবিলা করেন। কিন্তু যারা পেছন দিক থেকে নির্মম আঘাত হানে তারা জিততে পারে হয়তো, কিন্তু বীর হিসেবে বিবেচিত হয় না।
উদ্দীপকে দেখা যায়, শফিক শরীফের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে যুদ্ধনীতি ভঙ্গ করেন। ইরানের য্দ্ধুনীতি অনুযায়ী শত্র“কে পরপর দিনবার পরাস্ত না করে হত্যা করা ছিল অবৈধ। সফিক সুযোগ পেয়ে শরীফকে হত্যা করেন। ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায়ও দেখা যায়, ল²ণ নিরস্ত্র মেঘনাদকে আক্রমণ করেন। এদিক বিবেচনায় দুজনের চরিত্রেই কূটকৌশল প্রকাশ পায়।
‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় ল²ণকে সুযোগসন্ধানী হিসেবে পাওয়া যায়। ল²ণ যদিও বীর কিন্তু মেঘনাদকে আক্রমণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বীরত্বের পরিচয় দেননি। বরং যেকোনো উপায়ে শত্র“হননই তাঁর লক্ষ্য ছিল। উদ্দীপকের শফিকও যুদ্ধে যেকোনোভাবে জিততে চেয়েছেন। বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে বীরের মতো জিততে চাননি। এ দিকগুলো বিবেচনা করলে দেখা যায়Ñএ দু’জন বীর হিসেবে খ্যাতিমান হলেও কেউই প্রকৃত বীর নন। কারণ বীরের নীতির প্রতি তাঁদের বিশেষ শ্রদ্ধাবোধ নেই, যা তাঁদের বীরধর্মকে খর্ব করেছে। এ বিষয়টিই প্রশ্নোলিখিত উক্তিটির যৌক্তিকতাকে ফুটিয়ে তুলেছে।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
‘স্বদেশের উপকারে নেই যার মন।
কে বলে মানুষ তারে পশু সেই জন\’
ক. রাক্ষসরাজানুজ বলা হয়েছে কাকে?
খ. বিভীষণ নিজেকে রাঘবের দাস বলেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার কোন চরিত্রটিকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার মূলবক্তব্য উদ্দীপকের মূলবক্তব্যের প্রতিরূপ’Ñ উক্তিটির যৌক্তিকতা বিচার কর। ১
২
৩
৪
৬ নং প্রশ্নের উত্তর
রাক্ষসরাজানুজ বলা হয়েছে বিভীষণকে।
বিভীষণ রামের নৈতিকতার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তাঁর আদর্শে নিজেকে সমর্পণ করেছেন বলে তিনি নিজেকে রাঘবের দাস বলেছেন।
রাক্ষসরাজ রাবণ বিভীষণের বড় ভাই। রাবণ রামের সাথে যে অন্যায় করেছিলেন বিভীষণ তা সমর্থন করতে পারেন নি। রাবণের যে পাপে আজ সমস্ত লঙ্কাপুরী কলঙ্কিত সে দোষে বিভীষণ নিজে মরতে চান না। তাই রামের নৈতিকতার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তিনি তাঁর আজ্ঞাবহ হয়েছেন। আর তাই রাবণের ভাই হওয়া সত্তে¡ও তিনি নিজেকে রাঘবের দাস মনে করেন।
উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার বিভীষণের চরিত্রটিকে নির্দেশ করে।
দেশপ্রেম মানবজীবনের মহান বৈশিষ্ট্য। একজন মানুষ যতই ধনবান, গুণবান কিংবা জ্ঞানী হোক না কেন, তার মনে যদি দেশপ্রেম ও স্বজাতির প্রতি ভালোবাসা না থাকে তাহলে সে নরাধম, বর্বর ও পশুর তুল্য হিসেবে বিবেচিত হয়।
মানুষের গভীর মমত্ববোধই হলো দেশপ্রেমের উৎস, স্বজাতি প্রীতির বন্ধন। সকল মানুষের কাছেই নিজের জাতির স্বার্থ আগে। এই বৈশিষ্ট্যগুলো যার মধ্যে বর্তমান থাকে না, তাকে প্রকৃত মানুষ বলে অভিহিত করা যায় না। এমন ব্যক্তি পশুর মতো বিবেকহীন হয়ে থাকে। ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় নিজের দেশ ও জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেন। মেঘনাদ যজ্ঞাগারে হঠাৎ ল²ণকে দেখে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কিন্তু পরক্ষণেই আপন পিতৃব্য বিভীষণকে দেখে বুঝতে পারেন যে, ঘরের শত্র“ বিভীষণই ল²ণকে যজ্ঞাগারের পথ দেখিয়ে দিয়ে এসেছেন। বিভীষণের সাথে মেঘনাদের বিতর্কের মধ্য দিয়ে এ সত্যটি প্রতীয়মান হয় যে, মহাকুলে জন্মগ্রহণ করেও নিজের জ্ঞাতি এবং দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে বিভীষণ পশুত্বের পরিচয় দিলেন। উদ্দীপকেও এ সত্যই উচ্চারিত হয়েছে।
‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার মূলবক্তব্য উদ্দীপকের মূলবক্তব্যের প্রতিরূপ’Ñউক্তিটি যুক্তিসম্মত।
মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম না থাকলে সে মানুষ হয়েও পশুর সমান হিসেবে বিবেচিত হয়, ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার মধ্যে এ বিষয়টিই প্রতীয়মান হয়।
স্বদেশ ও স্বজাতির উপকার সাধন মানুষের অন্যতম কর্তব্য। স্বদেশ ও স্বজাতির উপকার সাধনে যে দ্বিধাগ্রস্ত এবং তাদের বিপদে যার প্রাণ কাঁদে না, তাকে কখনোই মানুষ হিসেবে গণ্য করা যায় না। উদ্দীপক এবং ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় এ বিষয়টি স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। জ্ঞাতিত্ব ও ভ্রাতৃত্ববোধ ভুলে গিয়ে বিভীষণ তাদের শত্র“ রামের সাথে হাত মেলান। আর ল²ণকে নিয়ে আসেন নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে মেঘনাদকে হত্যা করার জন্য। বিভীষণ স্বদেশ ও স্বজাতির কথা ভুলে হীনতার পরিচয় দেন। আর তাঁর আচরণের প্রেক্ষিতে মেঘনাদ উচ্চারণ করেন দেশপ্রেম ও স্বাজাত্যবোধের অমর বাণী। উদ্দীপকেও স্বদেশের প্রতি যার মমত্ববোধ নেই, তাকে মানুষের অধম বা পশুর তুল্য বলা হয়েছে।
অতএব, উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতার বক্তব্যের আলোকে বলা যায়, ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার মূল বক্তব্যই উদ্দীপকের বক্তব্যে প্রতিভাত হয়েছে।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
প্রাসাদ ষড়যন্ত্র ও দেশবৈরিতা বিশ্ব ইতিহাসের ঘৃণিত দিক। বিখ্যাত রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার খুবই বিশ্বাস করতেন ব্র“টাসকে। তিনি ছিলেন জুলিয়াস সিজারের ঘনিষ্ঠ পরিষদ। কিন্তু এই কুখ্যাত ব্যক্তি নিজের স্বার্থে দেশের সঙ্গে, রাজা সিজারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন। অন্যান্য পরিষদদের সঙ্গে ব্র“টাসও সিজারের হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।
ক. রাবণ ও বিভীষণের সম্পর্ক কী?
খ ‘রাঘব দাস আমি’ কী প্রকারে তাঁর বিপক্ষে কাজ করিব’Ñ বিভীষণ একথা কেন বলেছেন?
গ. ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার বিভীষণের সঙ্গে উদ্দীপকের ব্র“টাস চরিত্রের সাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. ‘দেশদ্রোহী ও বিশ্বাসঘাতক সকলের কাছেই ঘৃণিত।’Ñউদ্দীপক ও ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার আলোকে উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ১
২
৩
৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর
রাবণ ও বিভীষণ পরস্পর সহোদর।
মেঘনাদের তিরস্কারের জবাবে বিভীষণ আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে প্রশ্নোলিখিত উক্তিটি করেছেন।
বিভীষণের মতে, তিনি সত্য ও ন্যায়ের পথ অবলম্বন করার জন্য রামের পক্ষ নিয়েছেন। রাক্ষসরাজ রাবণ তাঁর পাপকর্মের কারণে লঙ্কার সর্বনাশ ডেকে এনেছেন। তাই তিনি দেবতাদের অনুগ্রহপ্রাপ্ত ন্যায়নিষ্ঠ রামকে প্রভু হিসেবে মেনে নিয়েছেন। বিভীষণ বলেন যে, ন্যায়ধর্মের পথ অবলম্বন করার জন্য রামের দাসে পরিণত হয়েছেন তিনি, ফলে তাঁর পক্ষে আর রামের বিরুদ্ধাচরণ সম্ভব নয়।
বিশ্বাসঘাতকতার দিক থেকে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার বিভীষণের সাথে উদ্দীপকের ব্র“টাস চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে।
কারো বিশ্বাসভাজন হওয়ার পর তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার মতো ঘৃণ্য কাজ আর হয় না। দেশ ও জাতির সাথে এ ধরনের আচরণ অত্যন্ত ঘৃণিত। এরকম বিশ্বাসঘাতকরা যুগে যুগে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নেয় তাদের জঘন্যতম অপকর্মের জন্য।
উদ্দীপকে ব্র“টাস সম্রাট জুলিয়াস সিজারের বিশ্বাসভাজন ও ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। নিজ স্বার্থের নেশায় বুঁদ হয়ে ব্র“টাস দেশের সাথে, রাজার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেন। এমনকি তিনি সম্রাটের হত্যাকাণ্ডেও যুক্ত ছিলেন। ব্র“টাসের মতো বিভীষণও দেশ ও জাতির সাথে একই রকমভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করে। বিভীষণ রামের দাসত্ব বরণ করে ল²ণকে পথ দেখিয়ে রাক্ষসপুরীতে নিয়ে আসে। নিজ ভ্রাতা রাবণের পরাজয় নিশ্চিতকরণে সকল প্রকার কাজ করেন বিভীষণ। নিজ জাতির সঙ্গ ত্যাগ করে, নিজের দেশকে অন্যের করতলগত করতে সহায়তা করার মতো ঘৃণিত কাজ করে এবং মেঘনাদকে হত্যার জন্য ল²ণকে রাক্ষসপুরীতে নিয়ে আসে। এক্ষেত্রে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার বিভীষণের সঙ্গে উদ্দীপকের ব্র“টাস চরিত্রের সাদৃশ্য প্রতীয়মান হয়।
‘দেশদ্রোহী ও বিশ্বাসঘাতক সকলের কাছেই ঘৃণিত’Ñউক্তিটি উদ্দীপক ও ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার আলোকে যথার্থ।
সভ্য মানুষের কাছে দেশ হচ্ছে মায়ের মতো। যে মায়ের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে তার পক্ষে যেকোনো জঘন্যতম কাজ করা সম্ভব। ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় দেশদ্রোহিতার মতো জঘন্যতম কাজের প্রমাণ পাওয়া যায়।
উদ্দীপকে ব্র“টাস রাজা সিজারের বিশ্বাস ভঙ্গ করে তাঁর হত্যাকারীদের সহায়তা করেন। তিনি সিজারের একান্ত ঘনিষ্ঠজন হয়েও এই রকম জঘন্যতম কাজে সহায়তা করেন শুধু নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য। জুলিয়াস সিজারের সময় থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ রাজার সাথে ব্র“টাসের এই আচরণকে ঘৃণাভরে স্মরণ করে। তেমনি বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতাতেও এই একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। বিভীষণ রাক্ষসরাজা রাবণের ভাই হয়েও রামের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজ মাতৃভূমির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। এমনকি রাক্ষসদের বীরযোদ্ধা মেঘনাদকে হত্যার উদ্দেশ্যে ল²ণকে পথ দেখিয়ে নিয়ে আসে বিভীষণ। বিভীষণের এই হীন আচরণ মেঘনাদের কাছে ধরা পড়ার পর মেঘনাদ তাকে বিভিন্নভাবে ভর্ৎসনা করে।
পুরাণের এ ঘটনা কালক্রমে এখনো মানুষ মনে রেখেছে এবং বিভীষণকে ঘরের শত্র“ বলে ঘৃণা প্রকাশ করে। তাই দেখা যায় যে, উদ্দীপক ও ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার আলোকে দেশদ্রোহী ও বিশ্বাসঘাতক সকলের কাছেই ঘৃণিত উক্তিটি যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। এ যুদ্ধে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ শহিদ হন। আর এ কাজে পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করেছিল রাজাকার, আলবদরসহ তাদের এদেশীয় দোসররা। যদিও ‘যুদ্ধ আইনে’ নিরস্ত্র মানুষ হত্যা কাপুরুষোচিত।
ক. ল²ণ কোন যজ্ঞাগারে প্রবেশ করেন?
খ. মেঘনাদ ল²ণকে ‘ক্ষুদ্রমতি নর’ বলেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকের হানাদার বাহিনী এবং ল²ণ চরিত্রের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা চালানো কাপুরুষোচিত’Ñ উদ্দীপক ও ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার আলোকে উক্তিটি বিচার কর। ১
২
৩
৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ল²ণ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে প্রবেশ করেন।
নিরস্ত্র মেঘনাদকে যুদ্ধে আহŸান করার কারণে মেঘনাদ ল²ণকে ক্ষুদ্রমতি নর বলেছেন।
কপটতার আশ্রয় নিয়ে ল²ণ মেঘনাদের যজ্ঞাগারে প্রবেশ করেন। এছাড়াও ল²ণ নিরস্ত্র মেঘনাদকে যুদ্ধে আহŸান জানান। যুদ্ধসাজে সজ্জিত ল²ণ অস্ত্রহীন মেঘনাদের সাথে যে আচরণ করেছেন তা মোটেও বীরের কাজ নয়। তাই মেঘনাদ ল²ণকে ক্ষুদ্রমতি নর বলেছেন।
উদ্দীপকের হানাদার বাহিনী এবং ল²ণ চরিত্রের মধ্যে সাদৃশ্য হলো উভয়েই নিরস্ত্র মানুষের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়েছে।
অতর্কিত আক্রমণকারী হিসেবে ল²ণ চরিত্র এবং উদ্দীপকের হানাদার বাহিনীর মধ্যে মিল বর্তমান। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বর্বরোচিত কাজ করেছিল নিরীহ বাঙালিদের হত্যা করে। তেমনি ল²ণও কপটতার মাধ্যমে লঙ্কায় প্রবেশ করে নিষ্ঠুর আচরণ করেছেন।
পাকিস্তানিরা এদেশের কিছু মানুষের সহায়তায় ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। ল²ণ সরাসরি দেবতাদের সহযোগিতা নিয়ে মায়া বিস্তার করে মেঘনাদের যজ্ঞালয়ে প্রবেশ করেন। মেঘনাদ ল²ণকে স্মরণ করিয়ে দেন, সে নিরস্ত্র শত্র“কে বধ করতে চান। দেবতাদের আনুুক‚ল্যপ্রাপ্ত ল²ণের এই হীন আচরণ কোনোক্রমেই মেনে নেয়া যায় না এবং এখানেই হানাদার বাহিনীর সাথে তাঁর চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে।
“নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা চালানো কাপুরুষোচিত” উদ্দীপক ও ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার আলোকে এই উক্তিটির যথার্থতা বিদ্যমান।
নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা চালালে ওই নিরস্ত্র মানুষটির মৃত্যু অবধারিত। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে দুই প্রতিপক্ষকেই সমান হতে হয়। একপক্ষ যদি অস্ত্রসজ্জায় সজ্জিত হয় আর অপরপক্ষ যদি অস্ত্রহীন হয় তাহলে সেখানে সমতা হয় না, হয় অন্যায়। আর অস্ত্রহীন মানুষের ওপর হামলা চালানো কোনো বীরোচিত কাজ নয়।
উদ্দীপকে দেখা যায় যে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশের কিছু বিশ্বাসঘাতকের সহায়তায় নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হামলা চালায়। ১৯৭১ সালে যুদ্ধে পাকিস্তানিরা বাঙালির কাছে পরাজিত হয়েছিল। যদি তারা নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা না চালাত তাহলে হয়তো ৩০ লক্ষ মানুষকে শহিদ হতে হতো না। প্রায় একই পরিস্থিতি দেখা যায় ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায়। মেঘনাদ রাক্ষসদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বীর। রাম এবং রাবণের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে যুদ্ধে বিজয়লাভের জন্য মেঘনাদ দেবতার আরাধনা করতে যজ্ঞালয়ে যান।
উদ্দীপকেও বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধ আইন’ অনুযায়ী নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা কাপুরুষোচিত কাজ। সুতরাং প্রশ্নোলিখিত উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার আলোকে যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
মুক্তিযুদ্ধের সময় চৌধুরী পরিবারের ফুরকান চৌধুরী মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন। অন্যদিকে, তার ভাই ফিরোজ চৌধুরী যোগ দেন রাজাকার বাহিনীতে। যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে ফুরকান একদিন বাসায় এলে ফিরোজ তাকে পাকবাহিনীর হাতে তুলে দেয়।
ক. বিভীষণের মায়ের নাম কী?
খ. ‘চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে’Ñব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের ফিরোজ চৌধুরীর মধ্যে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার কোন প্রবণতাগুলো লক্ষণীয়? আলোচনা কর।
ঘ. ‘কোন ধর্মমতে, কহ দাসে, শুনি, জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব জাতিÑএ সকলে দিলা জলাঞ্জলি’Ñ উদ্দীপকের আলোকে এ পঙ্ক্তির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
৯ নং প্রশ্নের উত্তর
বিভীষণের মায়ের নাম নিকষা।
‘চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে’Ñ লাইনটি দ্বারা অধমকে উত্তম স্থানে আসীন করানোকে বোঝানো হয়েছে।
বিভীষণ রামের অনুগত ছিলেন। রামের আদর্শানুসারী হওয়ায় রাক্ষসকুলের বীর মেঘনাদ বিভীষণকে ভর্ৎসনা করেন। মেঘনাদের মতে, রাম তুচ্ছ ও হীন চরিত্রাধিকারী। তাঁকে আদর্শ হিসেবে বিভীষণ অনুসরণ করার মাধ্যমে মূলত চণ্ডালকে তথা হীনকে রাজার আসনে বসিয়েছেন।
উদ্দীপকের ফিরোজ চৌধুরীর মধ্যে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার স্বজাতির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা এবং শত্র“কে প্রাধান্য দেয়ার প্রবণতা লক্ষণীয়।
মানুষ কখনো মানসিক নীচতার কারণে শত্র“র সাথে আঁতাত করে। আবার কখনো আদর্শগত দ্ব›েদ্বর কারণেও শত্র“র পক্ষ অবলম্বন করে।
উদ্দীপকে দেখা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় ফুরকান চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে ছিলেন, যাকে তার ভাই ফিরোজ চৌধুরী রাজাকারের হাতে তুলে দিয়ে স্বজাতির সাথে বৈরিতার পরিচয় দেয়। ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতাতেও দেখা যায়, বিভীষণ লঙ্কার অধিবাসী হয়েও শত্র“পক্ষ তথা রামের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন, যা স্বজাতির সাথে বৈরিতার পরিচায়ক। আর এখানেই উদ্দীপকের ফিরোজ চরিত্রের প্রবণতার সঙ্গে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার সাদৃশ্য বিদ্যমান।
কোন ধর্মমতে, কহ দাসে, শুনি, জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব জাতিÑ এ সকলে দিলা জলাঞ্জলি’Ñ এ উক্তিটি উদ্দীপকের ক্ষেত্রেও তাৎপর্য বহন করে।
স্বজাতি, জাতির প্রতি মানুষের ভালোবাসা চিরন্তন এবং এ ভালোবাসা প্রদর্শন বাঞ্ছনীয়। কিন্তু অনেক সময় মানুষ ধন ও যশের লোভে অথবা আদর্শের কারণে স্বজাতির প্রতি দ্বেষভাব প্রকাশ করে, যা সত্যিই গর্হিত কাজ। ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় বিভীষণের আচরণ এ কারণেই গর্হিত।
উদ্দীপকে দেখা যায়, ফিরোজ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের পক্ষ অবলম্বন করে স্বজাতির সাথে বেইমানি প্রদর্শন করে। এমনকি আপন মুক্তিযোদ্ধা ভাইকে শত্র“র হাতে তুলে দেয়। স্বজাতির বিরুদ্ধাচরণ করার এ প্রবণতা ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার বিভীষণের চরিত্রেও পাওয়া যায়, যা পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ। প্রশ্নোক্ত উক্তিটি মেঘনাদের। এ উক্তিতে বিভীষণের কৃতকর্মের প্রতি প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দেয়া হয়েছে। যে আদর্শের কারণে বিভীষণ শত্র“র সাথে মিত্রতা করেছেন, সে আদর্শ বা নীতিধর্মের প্রতিও প্রশ্ন উপস্থাপন করা হয়েছে এখানে। মূলত বিভীষণ তাঁর ভাই রাবণের অন্যায় কাজ মেনে নিতে পারেননি বলেই তাঁর আদর্শগত বিশ্বাসের কারণে এ বিরুদ্ধাচরণে লিপ্ত হন। কিন্তু উদ্দীপকের ফিরোজ চৌধুরী শুধুই মানসিক নীচতার কারণে স্বদেশের সাথে বৈরিতা করেছে এবং আপন ভাইকে শত্র“র হাতে তুলে দিয়েছে।
আদর্শগত পার্থক্য থাকা সত্তে¡ও উদ্দীপকের ফিরোজ চৌধুরী আর কবিতার বিভীষণ স্বজাতির প্রতি সমান আচরণ প্রদর্শন করেছে। বিভীষণের এ আচরণ গর্হিত হলে ফিরোজ চৌধুরীর আচরণকে বিবেচনা করতে হবে নিকৃষ্টতম হিসেবে। এখানেই উক্তিটির তাৎপর্য নিহিত।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
বিখ্যাত গ্রিক কবি হোমারের ‘ইলিয়ড’ মহাকাব্যের চরিত্র হেক্টর ট্রয় রাজ্যের যুবরাজ। ট্রয় যুদ্ধে তিনি অসামান্য বীরত্বের পরিচয় দেন। স্বাজাত্যবোধ, সত্যনিষ্ঠা, দেশপ্রেম তাঁর চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ট্রয় নগরকে রক্ষার জন্য তিনি প্রাণ বিসর্জন দিতেও পিছপা হননি।
ক. অরিন্দম বলা হয়েছে কাকে?
খ. মেঘনাদ কীভাবে লঙ্কার কলঙ্ক মোচন করতে চেয়েছেন?
গ. ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার মেঘনাদ ও উদ্দীপকের সাদৃশ্য তুলে ধর।
ঘ. ‘স্বাজাত্যবোধ ও দেশপ্রেম প্রকৃত বীরের স্বভাবধর্ম’Ñউদ্দীপক ও ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
১০ নং প্রশ্নের উত্তর
অরিন্দম বলা হয়েছে মেঘনাদকে।
মেঘনাদ ল²ণকে হত্যা করে লঙ্কার কলঙ্ক মোচন করতে চেয়েছেন।
লঙ্কা রাক্ষসদের রাজ্য। সেখানে কোনো গুপ্তচর বা শত্র“ প্রবেশের সাহস পায় না কিংবা প্রবেশের ক্ষমতাও রাখে না। অথচ ল²ণ সবার চোখে ধুলো দিয়ে লঙ্কায় প্রবেশ করে রাজ্যের কলঙ্ক সৃষ্টি করেছেন। তাই ল²ণকে হত্যা করে মেঘনাদ লঙ্কার কলঙ্ক মোচন করতে চেয়েছেন।
‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার মেঘনাদ ও উদ্দীপকের হেক্টরের চরিত্র, বীরত্ব ও স্বদেশপ্রেমের দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ।
মাতৃভূমির প্রতি মানুষের ভালোবাসা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আর যখন এ ভালোবাসা কোনো বীরের চরিত্রে ফুটে ওঠে, তখন সেটা আলঙ্কারিক হয়ে পড়ে। বস্তুত, কালে কালে সেরা বীরেরা স্বদেশের জন্যই লড়াই করে প্রাণ দিয়েছেন।
উদ্দীপকে হেক্টরের বীরত্বের কথা পাওয়া যায়। ট্রয় নগরের এ বীর গ্রিকদের সাথে যুদ্ধের সময় স্বদেশপ্রেমের যে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন তা ইতিহাসে বিরল। স্বদেশপ্রেমের এই নিষ্ঠা ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার মেঘনাদের চরিত্রেও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। মূলত বিভীষণের সাথে কথোপকথনের সময় তার স্বদেশপ্রেমের গভীরতা প্রকাশ পায়, যা উদ্দীপকের হেক্টর চরিত্রের সঙ্গে সাদৃশ্য রচনা করেছে।
‘স্বজাত্যবোধ ও দেশপ্রেম প্রকৃত বীরের স্বভাবধর্ম’Ñ উদ্দীপক ও ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার আলোকে উক্তিটি যথাযথ।
স্বদেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা মানুষের উচ্চতর বৃত্তি। স্বদেশের আলয়ে মানুষ আপনার অস্তিত্বকে বিকশিত করে, ভালোবাসার বিস্তার ঘটায়, স্বপ্নের সাধন করে। ফলে, স্বদেশের প্রতি যার ভালোবাসা নেই সে পশুর চেয়েও অধম বিবেচিত হয়। যুগে যুগে বীরেরা দেশপ্রেমের টানেই বীরধর্মকে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
উদ্দীপকে হেক্টরের স্বদেশপ্রেমের কথা পাওয়া যায়। ট্রয় নগরের মহাবীর হেক্টরের স্বদেশপ্রেমের কথা পাওয়া যায়। হেক্টর স্বদেশ রক্ষায় জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন। ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায়ও স্বদেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে মেঘনাদের পরিচয় পাওয়া যায়। স্বদেশের মান রক্ষায় মেঘনাদ প্রাণ বাজি রাখতেও সর্বদা প্রস্তুত। ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার মেঘনাদ এবং উদ্দীপকের হেক্টর দু’জনেই বীর। তাঁরা বীরত্বের যে নির্যাস, তা স্বদেশের সার্বভৌমত্ব ও সম্মান রক্ষায় ব্যয় করেছেন। আপনার ক্ষুদ্র কার্যের প্রতি লালায়িত হননি।
হেক্টর ও মেঘনাদ এ দুই বীরের মতো কালে কালে যত বীর ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন প্রত্যেকেই স্বদেশের জন্য জীবন বাজি রেখেছেন এবং প্রয়োজনে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, যা প্রশ্নোক্ত উক্তির সত্যতা নিশ্চিত করে।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
১৭৫৭ সালের পলাশির যুদ্ধে বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলা মিরজাফরকে বিশ্বাস করে সেনাপতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু, মিরজাফর নিজের স্বার্থে জাতির ও দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেন। তিনি ইংরেজদের সঙ্গে হাত মেলান। বলা যায়, তার বিশ্বাসঘাতকতায় বাংলার স্বাধীনতা অস্তমিত হয়।
ক. রাঘব দাস কে?
খ. ‘হে পিতৃব্য, তব বাক্যে ইচ্ছি মরিবারে! রাঘবের দাস তুমি’Ñউক্তিটিতে মেঘনাদ কী বুঝিয়েছেন?
গ. ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার বিভীষণের সঙ্গে উদ্দীপকের মিরজাফরের তুলনা কর।
ঘ. ‘বিভীষণ ধর্মের জন্য এবং মিরজাফর স্বার্থের জন্য স্বাজাত্যবোধকে বিসর্জন দিয়েছেন।’ তা উদ্দীপক ও কবিতার আলোকে উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ১
২
৩
৪
১১ নং প্রশ্নের উত্তর
রাঘব দাস হলেন বিভীষণ।
‘হে পিতৃব্য, তব বাক্যে ইচ্ছি মরিবারে! রাঘবের দাস তুমি’ Ñউক্তিটি দ্বারা বোঝানো হয়েছেÑবিভীষণও রামচন্দ্রের আজ্ঞাবহ হয়েছে তা শুনে মেঘনাদ ক্ষোভে, দুঃখে, যন্ত্রণায় তাঁর চাচাকে বলে যে, এ কথা শুনে তার মরে যেতে ইচ্ছে হয়।
মেঘনাদ যুদ্ধে যাবার আগে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে পূজা দিতে প্রবেশ করে। হঠাৎ সেখানে ল²ণকে দেখে সে অবাক হয়, কিন্তু সাথে বিভীষণকে দেখে ক্ষোভে, দুঃখে, অপমানে কাকাকে যথেষ্ট ভর্ৎসনা করে। তাদের কুলগৌরব সম্পর্কে সচেতন করার জন্য নানা উপমা দেয়। রাক্ষসকুলে জন্ম নিয়ে বিভীষণ কীভাবে রাঘবের পক্ষ নেয় তা শুনে মেঘনাদের মরে যেতে ইচ্ছা করে।
উদ্দীপকে মিরজাফর যেমন বিশ্বাসঘাতক, ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় বিভীষণও তেমনি বিশ্বাসঘাতক।
দেশ ও স্বজাতির স্বার্থে যারা নিজেকে উৎসর্গ করতে পারে না তারা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়। নিজের স্বার্থের জন্য তারা বড় কোনো ক্ষতি করতেও পিছপা হয় না। উদ্দীপকে প্রকাশিত চরিত্র মিরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতার চিত্রটিই ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় বিভীষণের মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে।
উদ্দীপকে নবাব সিরাজউদ্দৌলা মিরজাফরকে বিশ্বাস করে সেনাপতির দায়িত্ব দেন। কিন্তু মিরজাফর ইংরেজদের সাথে হাত মিলিয়ে যুদ্ধে নবাবের পরাজয় ঘটিয়ে বিশ্বাসঘাতকতার পরিচয় দেয়। মূলত উদ্দীপকের মিরজাফর চরিত্র এবং ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার বিভীষণের চরিত্রের মজ্জাগত কোনো পার্থক্য নেই। বিশ্বাসঘাতকতার জন্য বিভীষণ ও মিরজাফর দুজনই ইতিহাসে নিকৃষ্ট চরিত্রের উদাহরণ হিসেবে পরিচিত।
‘বিভীষণ ধর্মের জন্য এবং মিরজাফর স্বার্থের জন্য স্বজাত্যবোধকে বিসর্জন দিয়েছে’Ñ উক্তিটি উদ্দীপকের বক্তব্য ও ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার আলোকে যথার্থ।
উদ্দীপকে মিরজাফর এবং আলোচ্য রচনায় বিভীষণ দুজনেই শত্র“দের পক্ষ নিয়েছে। উভয়ের মজ্জাগত বিষয় ছিল বিশ্বাসঘাতকতা। এ স্বার্থকে চরিতার্থ করতে গিয়ে আজ দুজনেই ইতিহাসে কলঙ্কিত অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে।
পলাশির যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলা মিরজাফরকে প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব দিয়ে যুদ্ধে প্রেরণ করেন। কিন্তু মিরজাফর নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখে ইংরেজদের সাথে হাত মিলিয়ে যুদ্ধে নবাবকে পরাজিত করে। ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় বিভীষণকেও একই রূপে দেখা যায়। বিভীষণ রাম-রাবণের যুদ্ধে ধর্মীয় আদর্শের কথা বলে রামের দাসত্ব স্বীকার করে নেয় এবং স্বজাতির শত্র“কে সহযোগিতা করেন। বিভীষণ শত্র“দের সাথে হাত মিলিয়ে দেশদ্রোহিতা ও জাতিদ্রোহিতার পরিচয় দেন।
উদ্দীপক ও আলোচ্য রচনার বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, মিরজাফরের নবাবকে ঠকানোর একমাত্র কারণ বাংলার মসনদ দখল করা। অন্যদিকে বিভীষণ রামের ধর্মীয় আদর্শে আকৃষ্ট হয়ে সে মেঘনাদের শত্র“পক্ষ রাম-ল²ণের সাথে হাত মেলান। তাই বলা যায়, মিরজাফর স্বার্থের জন্য আর বিভীষণ ধর্মের জন্য স্বজাত্যবোধকে বিসর্জন দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করতেও দ্বিধাবোধ করেনি।
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর
১ শমন-ভবন কী?
ক দেবালয় ছ যমালয় গ যজ্ঞাগার ঘ বাসবালয়
২ ‘হায় তাত উচিত কি তব এ কাজ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
ক কুম্ভকর্ণের সহায়তা খ ল²ণের প্রবেশ
জ বিভীষণের সহায়তা ঘ রামচন্দ্রের আজ্ঞা
নিচের উদ্দীকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মতিউল একটি সফল অপারেশনের পর তারাপুর গ্রামে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। পার্শ্ববর্তী গ্রামের রাজাকার ইদ্রিস তথ্যটি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে জানিয়ে দিল। হানাদার বাহিনী এসে কমান্ডার মতিউলকে মেরে ফেলে। মতিউল প্রতিরোধের সুযোগ পর্যন্ত পেলেন না।
৩ উদ্দীপকের ইদ্রিস চরিত্রটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করেছে?
ক কুম্ভকর্ণের ছ বিভীষণের গ ল²ণের ঘ রামের
৪ উক্ত চরিত্রের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ চরণ-
র. নিজ গৃহপথ, তাত দেখাও তস্করে?
রর. রাঘব দাস আমি; কী প্রকারে/তাঁহার বিপক্ষ কাজ করিব।
ররর. গতি যার নীচ সহ, নীচ সে দুর্মতি।
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
মাস্টার ট্রেইনার কর্তৃক যাচাইকৃত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ক কবি পরিচিতি : (বোর্ড বই থেকে)
৫ আধুনিক বাংলা কবিতার অগ্রদূত বলা হয় কাকে?
ক ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ছ মাইকেল মধুসূদন দত্ত
গ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ জীবনানন্দ দাশ
৬ মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম কত সালে?
চ ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে খ ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দে
গ ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে ঘ ১৮২৭ খ্রিস্টাব্দে
৭ মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম জানুয়ারির কত তারিখে?
ক ২৪ তারিখে ছ ২৫ তারিখে
গ ২৬ তারিখে ঘ ২৭ তারিখে
৮ মাইকেল মধুসূদন দত্তের পিতার নাম কী?
ক রাজশেখর দত্ত ছ রাজনারায়ণ দত্ত
গ রামশেখর দত্ত ঘ রামনারায়ণ দত্ত
৯ মাইকেল মধুসূদন দত্তের মায়ের নাম কী?
ক জাহ্নবী দত্ত খ অর্পণা দত্ত
জ জাহ্নবী দেবী ঘ অর্পণা দেবী
১০ গ্রিক, লাতিন, হিব্র“, ফরাসি, জার্মান, ইতালীয় প্রভৃতি ভাষায় দক্ষতা ছিল কোন কবির?
চ মাইকেল মধুসূদন দত্তের খ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
গ কাজী নজরুল ইসলামের ঘ জীবনানন্দ দাশের
১১ মাইকেল মধুসূদন দত্ত কোন কলেজে অধ্যয়ন করেছিলেন?
ক বেথুন কলেজে খ সাগরদাঁড়ি কলেজে
জ হিন্দু কলেজে ঘ প্রেসিডেন্সি কলেজে
১২ মাইকেল মধুসূদন দত্ত কত সালে খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেন?
ক ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দে খ ১৮৩৩ খ্রিষ্টাব্দে
গ ১৮৩৪ খ্রিষ্টাব্দে ঝ ১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দে
১৩ মধুসূদনের নামের আগে ‘মাইকেল’ শব্দটি যোগ করেন কখন?
ক অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠানের সময় ছ খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণের কালে
গ ইংরেজি সাহিত্যচর্চার সময় ঘ বিলেত যাত্রার কালে
১৪ মাইকেল মধুসূদন দত্ত কত সালে নামের আগে ‘মাইকেল’ শব্দটি যোগ করেন?
চ ১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দে খ ১৮৩৪ খ্রিষ্টাব্দে
গ ১৮৩৩ খ্রিষ্টাব্দে ঘ ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দে
১৫ সাহিত্যচর্চার শুরুতে মাইকেল মধুসূদন দত্ত কোন ভাষায় গ্রন্থ রচনা করেন?
ক বাংলা ছ ইংরেজি গ সংস্কৃত ঘ ফারসি
১৬ মাইকেল মধুসূদন দত্তের সাহিত্যে কোন দুটি বিষয়ের আশ্চর্য মিলন ঘটেছে?
ক রোমান্টিক ও মরমী সাহিত্যের
খ ধ্র“পদী ও উপযোগবাদী সাহিত্যের
জ রোমান্টিক ও ধ্র“পদী সাহিত্যের
ঘ ধ্র“পদী ও উত্তরাধুনিক সাহিত্যের
১৭ মধুসূদন-পূর্ব হাজার বছরের বাংলা কবিতা কোন ছন্দে লেখা হতো?
ক মুক্তক খ স্বরবৃত্ত জ পয়ার ঘ গদ্যছন্দ
১৮ মাইকেল মধুসূদন দত্ত কোন ছন্দের প্রবর্তক?
ক অক্ষরবৃত্ত খ মাত্রাবৃত্ত গ স্বরবৃত্ত ঝ অমিত্রাক্ষর
১৯ অমিত্রাক্ষর ছন্দ মূলত কোন ছন্দের নবরূপায়ণ?
ক মন্দাক্রান্তা খ মাত্রাবৃত্ত
জ অক্ষরবৃত্ত ঘ স্বরবৃত্ত
২০ মাইকেল মধুসূদন দত্তের শ্রেষ্ঠ কীর্তি কোনটি?
ক চতুর্দশপদী কবিতাবলি খ বীরাঙ্গনা কাব্য
জ মেঘনাদবধ-কাব্য ঘ ব্রজাঙ্গনা কাব্য
২১ ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ কী ধরনের গ্রন্থ?
ক কাব্য খ উপন্যাস গ নাটক ঝ প্রহসন
২২ নিচের কোনটি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত প্রহসন?
ক ব্রজাঙ্গনা খ বীরাঙ্গনা
গ তিলোত্তমাসম্ভব ঝ একেই কী বলে সভ্যতা
২৩ নিচের কোনটি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত প্রহসন?
ক বুড়ো সালিকের ঘাড়ে রোঁ খ কৃষ্ণকুমারী
গ তিলোত্তমাসম্ভব ঝ শর্মিষ্ঠা
২৪ মাইকেল মধুসূদনের জন্ম কোন জেলায়?
ক ফরিদপুর ছ যশোর গ কুষ্টিয়া ঘ মাগুরা
২৫ মধুসূদনের জন্ম কোন গ্রামে?
ক কাঁঠালপাড়া খ বীরসিংহ
গ কাঁচড়াপাড়া ঝ সাগরদাঁড়ি
২৬ মধুসূদন কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
ক ১৮৭৬ সাল খ ১৮৭৫ সাল
গ ১৮৭৪ সাল ঝ ১৮৭৩ সাল
২৭ কোনটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রয়াণ দিবস?
ক ২৬ জুন খ ২৭ জুন গ ২৮ জুন ঝ ২৯ জুন
খ মূল পাঠ : (বোর্ড বই থেকে)
২৮ ল²ণ কোথায় প্রবেশ করলেন?
ক স্বপ্নপুরে ছ রক্ষঃপুরে গ যমপুরে ঘ অন্তঃপুরে
২৯ রক্ষঃপুরে কে প্রবেশ করলেন?
ক নিকষা খ রাবণ জ ল²ণ ঘ রাঘব
৩০ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে পশিল কে?
ক মেঘনাদ ছ ল²ণ গ বিভীষণ ঘ রাম
৩১ নিকষা সতী কার জননী?
ক রামের খ ল²ণের গ মেঘনাদের ঝ বিভীষণের
৩২ বিভীষণের সহোদর কে?
ক রাম ছ রাবণ গ ল²ণ ঘ মেঘনাদ
৩৩ বিভীষণ মেঘনাদের কী হন?
ক বাবা খ ভাই গ মামা ঝ কাকা
৩৪ মেঘনাদ কোথায় যেতে চেয়েছেন?
ক লঙ্কাপুরে ছ অস্ত্রাগারে গ যজ্ঞাগারে ঘ যমপুরে
৩৫ রামানুজকে মেঘনাদ কোথায় পাঠাতে চেয়েছেন?
ক স্বর্গলোকে খ রক্ষঃপুরে
জ শমন-ভবনে ঘ নিকুম্ভিলায়
৩৬ বিভীষণ নিজেকে কী বলে উলেখ করেছেন?
ক ঈশ্বরদাস ছ রাঘবদাস গ রক্ষঃদাস ঘ ল²ণদাস
৩৭ বিভীষণের বাক্য শুনে মেঘনাদের কী ইচ্ছে হয়েছে?
ক বাঁচিবার ছ মরিবার গ মারিবার ঘ ত্যাজিবার
৩৮ স্থাণুর ললাটে বিধি কাকে স্থাপন করেছেন?
চ বিধুকে খ সিধুকে গ সিন্ধুকে ঘ নদীকে
৩৯ মৃগেন্দ্রকেশরী কাকে মিত্রভাবে সম্ভাষে না?
ক হরিণকে খ বাঘকে জ শৃগালকে ঘ কুকুরকে
৪০ মেঘনাদ কাকে ‘বিজ্ঞতম’ বলেছেন?
ক রামকে খ রাবণকে গ ল²ণকে ঝ বিভীষণকে
৪১ মেঘনাদ কাকে ‘অজ্ঞ’ বলেছেন?
ক পিতৃব্যকে খ রাবণকে গ ল²ণকে ঝ নিজেকে
৪২ মেঘনাদের মতে, ল²ণের আচরণ দেখে লঙ্কার কে হাসবে?
ক নর ছ শিশু গ নারী ঘ বৃদ্ধ
৪৩ ‘ছাড়হ পথ’ কাকে বলা হয়েছে?
ক কুম্ভকর্ণকে খ ল²ণকে জ বিভীষণকে ঘ রাবণকে
৪৪ দেব-দৈত্য-নর রণে বিভীষণ স্বচক্ষে কার পরাক্রম দেখেছেন?
ক রামের ছ মেঘনাদের গ ল²ণের ঘ কুম্ভকর্ণের
৪৫ মেঘনাদের দৃষ্টিতে নন্দন-কাননে কে ভ্রমণ করেছে?
ক কিন্নর ছ দৈত্য গ মানব ঘ পশু
৪৬ মেঘনাদের দৃষ্টিতে প্রফুল কমলে কী বাস করেছে?
ক পতঙ্গ ছ কীট গ ভ্রমর ঘ দৈত্য
৪৭ মলিনবদন লাজে কে উত্তর দিয়েছিলেন?
চ রাবণ-অনুজ খ রাবণ-পুত্র
গ রাঘব-অনুজ ঘ রাঘব-পুত্র
৪৮ ‘নহি দোষী আমি’ Ñ কে বলেছেন?
ক রাবণ ছ বিভীষণ গ ল²ণ ঘ মেঘনাদ
৪৯ পাপপূর্ণ বলা হয়েছে কোনটিকে?
ক রামরাজ্য ছ লঙ্কাপুরী গ স্বর্গরাজ্য ঘ যজ্ঞস্থলী
৫০ কাল সলিলে ডুবেছে কোনটি?
ক বিধূ ছ লঙ্কা গ রথী ঘ স্থানু
৫১ নিশীথে অন্বরে মন্দ্রে কোনটি?
চ জীমূতেন্দ্র খ রতœাকার গ সৌদামিনী ঘ বীরেন্দ্র
৫২ নির্গুণ হলেও কে শ্রেয়?
ক পরজন ছ স্বজন গ নিধন ঘ দুর্জন
৫৩ ‘বাসববিজয়ী’ বলা হয়েছে কাকে?
চ মেঘনাদকে খ ল²ণকে গ রাবণকে ঘ বিভীষণকে
৫৪ বিভীষণের কথা শুনে মেঘনাদের মরতে ইচ্ছে হয়েছিল কেন?
ক শত্র“পক্ষের বিজয় সুনিশ্চিত জেনে
ছ আপনজনের বিশ্বাসঘাতকতা দেখে
গ ল²ণের হাতে মৃত্যু আসন্ন জেনে
ঘ পিত্যৃব্যের মুখে রামের স্তুতি শুনে
৫৫ ‘হে বীরকেশরী’ বলে কাকে নির্দেশ করা হয়েছে?
ক ল²ণকে খ রাবণকে জ বিভীষণকে ঘ রামকে
৫৬ ল²ণকে ক্ষুদ্রমতি নর বলার কারণ কী?
ক তুচ্ছ মানব বংশোদ্ভূত হওয়ায়
খ শারীরিকভাবে খর্বকায় হওয়ায়
গ শত্র“র সঙ্গে হীন আঁতাত করায়
ঝ অস্ত্রহীনকে যুদ্ধে আহŸান করায়
৫৭ মেঘনাদ ল²ণকে ‘দুর্বল মানব’ কেন বলেছেন?
ক অবয়বে বীরোচিত নয় বলে খ মানবিক দুর্বলতা আছে বলে
জ নিরস্ত্রকে আক্রমণ করতে এসেছে বলে
ঘ শারীরিকভাবে খর্বকায় বলে
৫৮ ‘মহারথি প্রথা’ নয় কোনটি?
ক সশস্ত্র যুদ্ধের মহড়া ছ অস্ত্রহীনকে যুদ্ধে আহŸান
গ যুদ্ধের পোশাক পরা ঘ যুদ্ধক্ষেত্রে দম্ভ প্রকাশ
৫৯ ‘ডরিবে এ দাস হেন দুর্বল মানবে?’Ñ এখানে ‘দুর্বল মানব’ কে?
ক বিভীষণ খ অরিন্দম গ বাসব ঝ ল²ণ
৬০ ‘নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে প্রগলভে পশিল দম্ভী’Ñ এখানে ‘দম্ভী’ বলে কাকে বোঝানো হয়েছে?
ক ইন্দ্রজিৎকে খ রাবণকে
গ রাক্ষসকে ঝ মেঘনাদকে
৬১ ‘দুরাচার দৈত্য’ বলে কাকে নির্দেশ করা হয়েছে?
ক ময়দানবকে খ বিভীষণকে জ ল²ণকে ঘ কুম্ভকর্ণকে
৬২ ‘রাবণ-অনুজ’ বলে কাকে বোঝানো হয়েছে?
ক রামকে খ কুম্ভকর্ণকে গ ল²ণকে ঝ বিভীষণকে
৬৩ ‘রাবণ-আত্মজ’ শব্দটি কার সম্পর্কে ব্যবহৃত হয়েছে?
চ মেঘনাদ খ ল²ণ গ রাম ঘ কুম্ভকর্ণ
৬৪ বিভীষণ রাজা বলতে কাকে বুঝিয়েছেন?
ক নিজেকে খ রামকে গ ল²ণকে ঝ রাবণকে
৬৫ লঙ্কার দুরবস্থার জন্য বিভীষণ কোন বিষয়টিকে দায়ী করেছেন?
ক মেঘনাদের ইন্দ্রজয়কে খ রাজার কর্মদোষকে
জ রাবণের যুদ্ধনীতিকে ঘ রামের অভিশাপকে
৬৬ বিভীষণের বিমাতাসুলভ আচরণের জন্য মেঘনাদ কোন বিষয়টিকে দায়ী করেছেন?
ক স্নেহের অভাব ছ সঙ্গদোষ
গ জ্ঞানের অভাব ঘ আত্মাভিমান
৬৭ ‘বাসবত্রাস’ বলে কাকে বোঝানো হয়েছে?
ক ল²ণকে খ রামকে
জ মেঘনাদকে ঘ রাবণকে
৬৮ মেঘনাদকে ‘বাসবত্রাস’ বলার কারণ কী?
ক বাসবের মতোই ভয়ঙ্কর বলে
খ বাসবকে বিতাড়িত করেছে বলে
জ বাসবকে পরাজিত করেছে বলে
ঘ বাসবের শঙ্কাহরণ করেছে বলে
৬৯ রুষিলা ‘বাসবত্রাস’-কেন?
চ রামের পক্ষাবলম্বনের ব্যাখ্যা শুনে
খ মেঘনাদকে আঘাত করার ক্ষোভে
গ মেঘনাদের পথরোধ করার কারণে
ঘ ল²ণকে পথ দেখানোর কারণে
৭০ ‘বীরেন্দ্র বলী’ কাকে বলা হয়েছে?
ক রাবণকে খ ল²ণকে গ রামকে ঝ মেঘনাদকে
৭১ ‘রাক্ষসরাজানুজ’ বলে কাকে সম্বোধন করা হয়েছে?
ক রামকে খ ল²ণকে জ বিভীষণকে ঘ মেঘনাদকে
৭২ ‘হেন সহবাসে, হে পিতৃব্য, বর্বরতা কেন না শিখিবে’Ñ এখানে কোন সাহচর্যের কথা বলা হয়েছে?
ক স্ত্রী-পরিবারের ছ রাম-ল²ণের
গ শিব-পার্বতীর ঘ রাম-রাবণের
৭৩ ‘গুণহীন স্বজন’ শ্রেয় কেন?
ক গুণ মূল্যহীন বলে খ বিপদে ভরসা বলে
জ প্রকৃত বান্ধব বলে ঘ স্বজন নির্গুণ বলে
৭৪ বিভীষণ ও মেঘনাদের মধ্যে কোন সম্পর্কটি বিদ্যমান?
ক পিতা-পুত্র খ অগ্রজ-অনুজ
জ কাকা-ভাইপো ঘ মামা-ভাগ্নে
৭৫ কার সহায়তায় ল²ণ যজ্ঞাগারে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছিলেন?
ক রাম ছ বিভীষণ গ ইন্দ্র ঘ রাবণ
৭৬ ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় ‘তাত’ কাকে বোঝানো হয়েছে?
ক রাবণকে খ বাসবকে গ কুম্ভকর্ণকে ঝ বিভীষণকে
৭৭ শিক্ষক ছাত্রকে মেঘনাদের পিতৃব্যের নাম জিজ্ঞেস করলেন। ছাত্র কোন নামটি বলবে?
ক রাবণ খ রাঘব জ বিভীষণ ঘ অরিন্দম
৭৮ ক্লাসের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রের কাছে তুলনামূলকভাবে দুর্বল ছাত্র মেঘনাদের পিতার নাম জানতে চাইল। মেধাবী কোন নামটি বলবে?
ক বিভীষণ ছ রাবণ গ রাঘব ঘ ল²ণ
৭৯ ক্লাসের একজন ছাত্র বাংলার শিক্ষকের কাছে জানতে চাইল, অরিন্দম বলা হয় কাকে? শিক্ষক কোন নামটি বলবেন?
ক রাবণ খ ল²ণ গ বিভীষণ ঝ মেঘনাদ
৮০ ‘ঘরের শত্র“ বিভীষণ’Ñ এ প্রবাদবাক্যটি বিভীষণের কোন আচরণকে কেন্দ্র করে প্রচলিত?
ক স্বজনের প্রতি উদাসীনতা খ পরধর্মের অনুসরণ
জ শত্র“পক্ষের সঙ্গে আঁতাত ঘ দুর্জনের সাহচর্য
৮১ ‘রাঘবদাস আমি’Ñউক্তিটির সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশেষ ভূমিকায় অবতীর্ণ কাদের সঙ্গে মিল রয়েছে?
ক হানাদারদের ছ রাজাকারদের
গ মুক্তিযোদ্ধাদের ঘ গেরিলাদের
৮২ ‘চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে’Ñপঙ্ক্তিটির মধ্য দিয়ে কোন ভাব সর্বাধিক জোরালো হয়েছে?
ক বিস্ময় খ ঘৃণা জ তিরস্কার ঘ ক্রোধ
৮৩ বিভীষণের প্রতি মেঘনাদের বক্তব্যে কোন বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে?
চ কুলমর্যাদা খ অহংকার গ নৈতিকতা ঘ বীরত্ব
৮৪ মেঘনাদকে ‘রাবণি’ সম্বোধন করা হয়েছে কোন যুক্তিতে?
ক রাঘবকে ঘৃণা করে বলে ছ রাবণের শ্রেষ্ঠ পুত্র বলে
গ রাক্ষসরাজের ভক্ত বলে ঘ ‘রাবণি’ তার ডাক নাম
৮৫ বিভীষণের স্বজনের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার পেছনে কোন বিষয়টি ক্রিয়াশীল ছিল?
ক স্বার্থচিন্তা খ অর্থচিন্তা গ অন্নচিন্তা ঝ ধর্মবোধ
৮৬ আত্মপক্ষ সমর্থনের ক্ষেত্রে বিভীষণ কোন বিষয়টিকে সামনে এনেছেন?
ক ইতিহাস চেতনা খ স্বাজাত্যবোধ
গ প্রতিবাদী চেতনা ঝ নৈতিকতা
৮৭ ‘স্বচক্ষে দেখেছ, রক্ষঃশ্রেষ্ঠ, পরাক্রম দাসের’Ñমেঘনাদের নিজেকে ‘দাস’ বলার পেছনে কোন মনোভাবটি ক্রিয়াশীল?
ক কুলগৌরব ছ বিনয় গ আত্মগ্লানি ঘ সংকোচ
৮৮ রাবণের মধ্যম সহোদর কে?
ক অরিন্দম ছ কুম্ভকর্ণ গ বিভীষণ ঘ রাবণি
৮৯ ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় অরিন্দম কে?
ক বিভীষণ ছ মেঘনাদ গ কুম্ভকর্ণ ঘ রক্ষোরথী
৯০ রাবণের মাকে কী নামে অভিহিত করা হয়?
ক সুমিত্রা ছ নিকষা গ বিধু ঘ রাবণি
৯১ মেঘের ডাক বা আওয়াজকে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় কী বলা হয়েছে?
ক গর্জন ছ জীমূতেন্দ্র গ বর্ষণ ঘ জীতেন্দ্র
৯২ কাকে ‘রথী’ বলা হয়?
ক চোর ছ রথচালক গ বীর ঘ ঘোড়াচালক
৯৩ কর্মদোষে কনক-লঙ্কাকে বিপদগ্রস্ত করেছেন কে?
চ লঙ্কার রাজা খ রাঘব-দাস গ রাবণ-পুত্র ঘ কুম্ভকর্ণ
৯৪ রাবণের মাকে কী নামে অভিহিত করা হয়?
চ সুমিত্রা খ নিকষা গ বিধু ঘ রাবণি
গ শব্দার্থ ও টীকা : (বোর্ড বই থেকে)
৯৫ ‘তাত’ শব্দটির অর্থ কী?
ক মাতা ছ পিতা গ ভাই ঘ বোন
৯৬ ‘নন্দন-কানন’ কী?
ক পুত্রের বাগান খ লঙ্কার উদ্যান
জ স্বর্গের উদ্যান ঘ মনোহর ক্ষেত্র
৯৭ ‘বিধু’ শব্দের অর্থ কী?
ক সূর্য ছ চাঁদ গ বৃক্ষ ঘ হস্ত
৯৮ ‘আহবে’ শব্দের অর্থ কী?
ক ক্ষোভে খ অস্ত্রে জ যুদ্ধে ঘ যজ্ঞে
৯৯ ‘দুর্মতি’ শব্দটির অর্থ কী?
ক সৎ বুদ্ধি খ মতিভ্রম জ অসৎ বুদ্ধি ঘ জ্ঞানী
১০০ ‘তস্কর’ শব্দটির অর্থ কী?
ক সাধু ছ চোর গ বীর ঘ জ্ঞানী
১০১ ‘সৌমিত্র’ শব্দ দ্বারা কাকে বোঝানো হয়েছে?
চ ল²ণকে খ রাবণকে গ বিভীষণকে ঘ রামকে
১০২ “এতক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে, বাক্যটির সমার্থক কী?
ক এতক্ষণ পরে মেঘনাদ কথা বলল
ছ বিস্মিত ও বিপন্ন মেঘনাদ বলল
গ এতক্ষণে মেঘনাদ শত্র“কে দেখল
ঘ এতক্ষণে মেঘনাদ গৌরবের কথা বলল
১০৩ রামধনু শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ কী?
ক রাম+ আনুজ ছ রাম+অনুজ
গ রাম+অনুজ্য ঘ রাম+আনুজ্য
১০৪ ‘শমন-ভবন’ শব্দটির অর্থ কী?
ক শয়নকক্ষ ছ যমালয় গ যুদ্ধক্ষেত্র ঘ রক্ষপুরী
১০৫ ‘যুদ্ধ’ শব্দটির যে প্রতিশব্দটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যাংশে ব্যবহৃত হয়েছে তা হলো
ক লড়াই ছ আহব গ রণ ঘ সংগ্রাম
১০৬ “স্থাপিলা বিধুরে বিধি স্থাণুর ললাটে” চরণটিতে ব্যবহৃত ‘স্থাণু’ শব্দের অর্থ কী?
ক চাঁদ খ আকাশ জ নিশ্চল ঘ ললাট
১০৭ ‘মৃগেন্দ্র’ শব্দটির অর্থ কী?
ক বাঘ ছ পশুরাজ সিংহ
গ শিয়াল পণ্ডিত ঘ হরিণ
১০৮ ‘প্রগল্ভে’ শব্দটি দ্বারা কী বোঝায়?
ক প্রলোভন দেখিয়ে খ প্রাগ্রসর হয়ে
জ নির্ভীক চিত্তে ঘ নিরপেক্ষভাবে
১০৯ ‘ধীমান’ শব্দের অর্থ কী?
ক মূর্খ খ ব্যস্ত জ জ্ঞানী ঘ ঘুমন্ত
১১০ ‘তস্কর’ শব্দটি দ্বারা কী বোঝায়?
ক তুষের ঘর খ তক্ষক জ চোর ঘ চোরাবালি
১১১ ‘রথী’ শব্দটি দ্বারা কী বোঝায়?
ক রথে চরে যে খ রথের মালিক
জ রথচালনার মাধ্যমে যে যুদ্ধ করে ঘ রথের অংশবিশেষ
১১২ “মহামন্ত্র- বলে যথা নম্রশির: ফনী”- বাক্যটির অর্থ কী?
চ মন্ত্রসূত সাপ যেমন মাথা নত করে
খ সাপের ফণা অবস্থা হঠাৎ নত হওয়া
গ মহৌষদের কাছে সাপের বিষ কমে যাওয়া
ঘ ঐশ্বর্যশালীর মাথা নত হওয়া
১১৩ ‘সহিছ’ বলতে কী বোঝায়?
ক সহিত ছ সহ্য করছ গ সুজনতা ঘ সুবিধা নেয়া
১১৪ ‘ভর্ৎস’ শব্দের সঠিক অর্থ কোনটি?
চ ভর্ৎসনা বা তিরস্কার খ ভরত মুনি
গ ভূজঙ্গ ঘ মূল্যবান
১১৫ ‘মজাইলা’ শব্দের সঠিক অর্থ কী?
ক মজে যাওয়া খ নষ্ট করলে
জ বিপদগ্রস্ত করলে ঘ আনন্দফূর্তি করলে
১১৬ ‘এবে’ শব্দের সঠিক অর্থ কোনটি?
ক এবং ছ এখন গ এমন ঘ এভাবে
১১৭ এবে পাপপূর্ণ। শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ কোনটি?
ক দেবকুল খ মানবকুল জ লঙ্কাপুরী ঘ নগরী
১১৮ ‘যেমতি’ বলতে কী বোঝায়?
ক এমন ছ যেমন গ তেমন ঘ কেমন
১১৯ “পরদোষে কে চাহে মজিতে? বাক্যের অর্থ কী?
ক অন্যের দোষে কেউ শাস্তি পেতে রাজি নয়
খ অন্যের কাঁধে দোষ দিতে চাওয়া
জ অপরের দোষে বিপদগ্রস্ত হতে কেউ চায় না
ঘ অন্যের দোষে কেউ মরতে চায় না
১২০ ‘রুষিলা’ শব্দটির অর্থ কী?
চ রাগান্বিত হলো খ রেষারেষি করল
গ বর্ষণ করল ঘ থেমে গেল
১২১ নিচের কোনটি ভিন্নার্থক?
ক শব্দ খ মন্ত্র গ ধ্বনি ঝ মন্দ
১২২ আকাশ শব্দটির কোন প্রতিশব্দটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যাংশে ব্যবহৃত হয়েছে?
ক নীলিমা খ আসমান জ অম্বর ঘ গগন
১২৩ নিচের কোন শব্দটি ভিন্নার্থক?
ক বললাম ছ বল গ বীর ঘ বলী
১২৪ সম্পূর্ণ পরিত্যাগ অর্থে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতাংশে কোন শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে?
ক উৎসর্গ খ উজাড় জ জলাঞ্জলি ঘ সত্য ত্যাগ
১২৫ “পরঃ পরঃ সদা” বাক্যের মর্মার্থ কী?
ক আপন কখনো পর হয় না খ পর কখনো আপন হয় না
জ পর গুণবান হলেও সর্বদা পর ঘ শত্র“ গুণবান হলেও ক্ষতি
ঘ পাঠ পরিচিতি : (বোর্ড বই থেকে)
১২৬ ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যাংশটুকু ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের কোন সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে?
চ ষষ্ঠ খ সপ্তম গ অষ্টম ঘ নবম
১২৭ ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতাটি কোন ছন্দের অন্তর্ভুক্ত?
চ অক্ষরবৃত্ত খ স্বরবৃত্ত গ মাত্রাবৃত্ত ঘ গদ্যছন্দ
১২৮ ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার ছন্দ কী নামে সমধিক পরিচিত?
ক মন্দাক্রান্তা খ কলাবৃত্ত জ অমিত্রাক্ষর ঘ মিশ্রবৃত্ত
১২৯ ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যাংশের প্রতিটি পঙ্ক্তি কত মাত্রায় রচিত?
ক ৮ মাত্রা খ ১০ মাত্রা গ ১২ মাত্রা ঝ ১৪ মাত্রা
১৩০ ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যাংশটুকু মাইকেল মধুসূদন দত্তের কোন কাব্যের অন্তর্গত?
ক ব্রজাঙ্গনা কাব্য খ বীরাঙ্গনা কাব্য
জ মেঘনাদবধ কাব্য ঘ তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
১৩১ ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যটি সর্বমোট কয়টি সর্গে বিন্যস্ত?
ক ৭টি খ ৮টি জ ৯টি ঘ ১০টি
১৩২ ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতাটি কোন ছন্দের অন্তর্ভুক্ত?
চ অক্ষরবৃত্ত খ স্বরবৃত্ত গ মাত্রাবৃত্ত ঘ গদ্যছন্দ
১৩৩ ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার ছন্দ কী নামে সমধিক পরিচিত?
ক মন্দাক্রান্তা খ কলাবৃত্ত জ অমিত্রাক্ষর ঘ মিশ্রবৃত্ত
১৩৪ ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যাংশের প্রতিটি পঙ্ক্তি কত মাত্রায় রচিত?
ক ৮ মাত্রা খ ১০ মাত্রা গ ১২ মাত্রা ঝ ১৪ মাত্রা
১৩৫ রাবণের মধ্যম সহোদর কে?
ক অরিন্দম ছ কুম্ভকর্ণ গ বিভীষণ ঘ রাবণি
ঙ বহুপদী সমাপ্তিসূচক প্রশ্নোত্তর :
১৩৬ ল²ণ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে প্রবেশে সমর্থ হয়Ñ
র. রাবণের সহায়তায়
রর. মায়া দেবীর আনুক‚ল্যে
ররর. রাবণের অনুজ বিভীষণের সহায়তায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৭ ‘লঙ্কার কলঙ্ক আজি ভুঞ্জিব আহবে’Ñ পঙ্ক্তিটির গভীরে লুক্কায়িত আছেÑ
র. ঘৃণা রর. প্রতিজ্ঞা ররর. আত্মবিশ্বাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৮ ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় লঙ্কা বোঝাতে যেসব শব্দগুচ্ছ ব্যবহৃত হয়েছেÑ
র. নন্দন-কানন রর. কনক-লঙ্কা ররর. লঙ্কাপুরী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৯ ‘বিভীষণ’ নামটির স্থলে কবি যে শব্দগুলো প্রয়োগ করেছেনÑ
র. রক্ষোমণি রর. রক্ষোরথি
ররর. রক্ষঃশ্রেষ্ঠ
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪০ মেঘনাদ বিভীষণের সঙ্গে যে ভাষায় কথা বলেছেন তাতে মেঘনাদের ক্ষেত্রে যে বিশেষণগুলো প্রযোজ্যÑ
র. বিনয়ী
রর. আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন
ররর. হিতাহিতবোধ রহিত
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪১ বিভীষণকে রক্ষোরথি, বিজ্ঞতম প্রভৃতি বিশেষণে অভিহিত করার পেছনে যে বিষয়গুলো ক্রিয়াশীলÑ
র. তোষামোদ রর. স্বাজাত্যবোধ জাগানো
ররর. আত্মসম্মানবোধ জাগানো
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪২ ‘হেন সহবাসে, হে পিতৃব্য, বর্বরতা কেন না শিখিবে?’ নিচের যে প্রবাদগুলো এ বক্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণÑ
র. সৎসঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ
রর. সঙ্গদোষে লোহা ভাসে
ররর. মাছের মায়ের পুত্রশোক
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৩ ‘প্রলয়ে যেমতি বসুধা, ডুবিছে লঙ্কা এ কালসলিলে’- পঙ্ক্তিতে যে অলংকারগুলো ব্যবহৃত হয়েছেÑ
র. যমক রর. উপমা ররর. রূপক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৪ ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় মেঘনাদের যে পরিচয় পাওয়া যায়Ñ
র. বাসব-বিজয়ী রর. অরিন্দম ররর. ইন্দ্রজিৎ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৪৫ রামের অনুজের নামÑ
র. রামানুজ রর. ল²ণ ররর. কুম্ভকর্ণ
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৬ রঘুবংশের শ্রেষ্ঠ সন্তান হলেনÑ
র. রাবণ রর. রাম ররর. রাঘব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৭ মধুসূদন দত্তের রচিত সাহিত্যের প্রধান সুর হলো
র. দেশপ্রেম
রর. স্বাধীনতার চেতনা
ররর. নারী-জাগরণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৪৮ ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যাংশে প্রকাশিত হয়েছেÑ
র. মাতৃভ‚মির প্রতি ভালোবাসা
রর. মাতৃভ‚মির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা
ররর. দেশদ্রোহিতার বিরুদ্ধে ঘৃণা
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
চ অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর :
অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৪৯-১৫১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সম্পত্তি নিয়ে সৈয়দ বংশের সৈয়দ আলী ও শেখ পরিবারের নাদু শেখের মধ্যে বিরোধ চলার এক পর্যায়ে নাদু শেখের ভাই আদু শেখ সৈয়দ আলীর পক্ষ নেয়।
১৪৯ উদ্দীপকের আদু শেখ ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে?
ক মেঘনাদ খ ল²ণ
জ বিভীষণ ঘ রাবণ
১৫০ উদ্দীপক ও ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার মূলবক্তব্যের বিষয় কী?
ক আদর্শের দ্ব›দ্ব খ আত্মরক্ষার কৌশল
গ বিরোধিতার স্বরূপ ঝ স্বজনের বিশ্বাসঘাতকতা
১৫১ উদ্দীপকের নাদু শেখ তার ভাই আদু শেখকে লক্ষ করে যে পঙ্ক্তিগুলো উদ্ধৃত করতে পারতÑ
র. উচিত কি তব এ কাজ
রর. ছাড় দ্বার, যাব অস্ত্রাগারে
ররর. জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব, জাতিÑ এ সকলে দিলা জলাঞ্জলি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৫২-১৫৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আত্মীয়তার সম্পর্কে কংস কৃষ্ণের মামা হলেও জন্মের পরপরই কংস কৃষ্ণকে হত্যা করতে উদ্যত হয়। কারণ সে জানতে পেরেছিল, একসময় কৃষ্ণ তার অপকর্মের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
১৫২ উদ্দীপকের কংসের কৃষ্ণ-নিধন চেষ্টার পেছনে ছিল আত্মরক্ষার ভাবনা। ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় স্বজনের প্রতি বৈরী আচরণে কোন বিষয়টি যুক্তি হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন?
ক স্বার্থরক্ষা ছ ধর্মরক্ষা গ বংশরক্ষা ঘ কুলরক্ষা
১৫৩ উদ্দীপকের কৃষ্ণ ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার কার সমান্তরাল?
ক ল²ণ খ রাবণ জ মেঘনাদ ঘ রাম
১৫৪ উদ্দীপকের কংসকে কেন্দ্র করে একটি প্রচলিত বাগধারা হচ্ছে ‘কংস মামা’। ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার প্রতিফলনে অনুরূপ কোন প্রবাদটি প্রচলিত?
ক রাবণের চিতা ছ ঘরের শত্র“ বিভীষণ
গ কুম্ভকর্ণের ঘুম ঘ লঙ্কাকাণ্ড
অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৫৫-১৫৬ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশের হাজার হাজার নিরস্ত্র মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে। বাঙালি আজও তাদের ঘৃণাভরে স্মরণ করে।
১৫৫ উদ্দীপকে বর্ণিত হত্যার সঙ্গে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যের কার হত্যার মিল পাওয়া যায়?
ক রাঘব ছ মেঘনাদ গ বিভীষণ ঘ কুম্ভকর্ণ
১৫৬ উদ্দীপকে বর্ণিত বাঙালি জাতির মনের কথা মেঘনাদের যে ভাষ্য দিয়ে প্রকাশ করা হয়Ñ
র. উচিত কি তব এ কাজ
রর. জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব, জাতিÑ এ সকলে দিলা জলাঞ্জলি
ররর. বৃথা এ সাধনা ধীমান, রাঘবদাস আমি
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
রিভিশন অংশ (জবারংরড়হ)
আলোচ্য অংশে জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার জন্য বাড়ির কাজ, গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকণিকা, জ্ঞানমূলক এবং অনুধাবনমূলক আরও কিছু প্রশ্নোত্তর উলেখ করা হয়েছে। এ অংশটি অনুশীলনের মাধ্যমে পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি ও জবারংরড়হ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
বাড়ির কাজ
‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় স্বজাত্যবোধ ও দেশপ্রেমের যে পরিচয় পাওয়া যায় তার স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
মেঘনাদ ও বিভীষণের বিতর্কে নৈতিকতা ও ধর্মবোধের যে স্বরূপ প্রকাশিত হয়েছে তা যুক্তিসহ মূল্যায়ন কর।
‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতা অবলম্বনে মেঘনাদ চরিত্রটি বিশ্লেষণ কর।
‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় বিভীষণ চরিত্রে প্রকাশিত বিশ্বাসঘাতকতার স্বরূপ বিশ্লেষণ কর।
বীরের ধর্ম বিচারে ল²ণ ও মেঘনাদ চরিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর।
‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতাংশ অবলম্বনে পৌরাণিক কাহিনি ও এর নবনির্মাণ সম্পর্কে আলোচনা কর।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকণিকা
কর্তব্যপরায়ণ এবং বিশ্বাসঘাতকতা না করার মানসিকতা।
মানবতাবোধ ও পৌরাণিক কাহিনির পরিচয়।
পৌরাণিক কাহিনিতে প্রকৃতির স্থান এবং প্রকৃত সংলগ্ন মানুষ।
বিশ্বাসঘাতকতা এবং বিশ্বাসীর পরিণাম।
ঐতিহাসিক পানিপথের যুদ্ধের বিশেষত্ব ও পৌরাণিক চরিত্র।
যুদ্ধের নীতিকে অমান্য করে অন্যায়ভাবে হত্যা।
স্বদেশ প্রীতি ও স্বদেশের শত্র“দের ষড়যন্ত্র।
আত্মবিশ্বাস ও মানবকল্যাণ আত্মনিয়োগে স্বদেশের উন্নতি।
অন্যায়ের প্রতিবাদ এবং মানব কল্যাণে আত্মনিয়োগ।
হিংসাত্মক মনোবৃত্তি চরিতার্থে অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা।
দেশপ্রেম ও প্রকৃতিচেতনা।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেম।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন ও স্বদেশের প্রকৃতিতে মুগ্ধতা।
বাস্তব জ্ঞানের অভাব এবং যুদ্ধে ভুল সিদ্ধান্তের পরিণতি।
স্বদেশের প্রতি ভালোবাসা ও গভীর অনুরাগ এবং ঐক্যবদ্ধ শক্তির জয়।
সমাজ-ভাবনা এবং টিকে থাকার লড়াইয়ে নিজের সম্পৃক্ততা।
দেশপ্রেমিকের গুরুত্ব এবং বিশ্বাসঘাতকতার পরিণতি।
টেক্সট বুক অ্যানালাইসিস
ক জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর
১ মাইকেল মধুসূদন দত্ত কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
২ বাংলায় চতুর্দশপদী কবিতা বা সনেটের প্রবর্তন করেন কে?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
৩ ‘শর্মিষ্ঠা’, ‘পদ্মাবতী’ মধুসূদনের কী ধরনের রচনা?
উত্তর : ‘শর্মিষ্ঠা’ ও ‘পদ্মাবতী’ মধুসূদন রচিত নাট্যগ্রন্থ।
৪ মাইকেল মধুসূদন দত্ত কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
৫ কুম্ভকর্ণ কে?
উত্তর : রাবণের মধ্যম সহোদর।
৬ রাঘবদাস কে?
উত্তর : বিভীষণ।
৭ রক্ষোরথি বলে সম্বোধন করা হয়েছে কাকে?
উত্তর : বিভীষণকে।
৮ মেঘনাদ ক্ষুদ্রমতি নর বলেছেন কাকে?
উত্তর : ল²ণকে।
৯ রাজহংস কোথায় কেলি করে না?
উত্তর : সলিলে কেলি করে না।
১০ দুরাচার দৈত্য কোথায় ভ্রমে?
উত্তর : নন্দন-কাননে ভ্রমে।
১১ মেঘনাদ ল²ণকে কোথায় পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলেন?
উত্তর : মেঘনাদ ল²ণকে শমন-ভবনে পাঠানোর কথা বলেন।
১২ বাসববিজয়ী বলা হয় কাকে?
উত্তর : মেঘনাদকে।
১৩ বিভীষণ রাঘবদাসÑ একথা শুনে মেঘনাদের কী ইচ্ছে হয়?
উত্তর : মেঘনাদের মরার ইচ্ছে হয়।
১৪ দেবকুল সতত কী হতে বিরত?
উত্তর : পাপ হতে বিরত।
১৫ বনবাসী বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ল²ণকে বোঝানো হয়েছে।
১৬ ‘জীমূতেন্দ্র’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : মেঘের ডাক।
১৭ ‘মৃগেন্দ্রকেশরী’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : কেশরযুক্ত পশুরাজ সিংহ।
১৮ ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যটি মোট কয়টি সর্গে বিন্যস্ত?
উত্তর : নয়টি সর্গে বিন্যস্ত।
১৯ ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের কোন সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে?
উত্তর : ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের ষষ্ঠ সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে।
২০ ‘মেঘনাদ-বধ’ কাব্যের ষষ্ঠ সর্গের শিরোনাম কী?
উত্তর : ষষ্ঠ সর্গের শিরোনাম হলো ‘বধো’ (বধ)।
২১ রাবণের জ্যেষ্ঠপুত্রের নাম কী?
উত্তর : মেঘনাদ।
২২ রামায়ণ-এর রচয়িতার নাম কী?
উত্তর : বাল্মীকি।
খ অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর
১ ‘নিজ গৃহপথ, তাত, দেখাও তস্করে? উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ল²ণকে পথ দেখিয়ে নিকুম্ভিলা যজ্ঞালয়ে নিয়ে আসায় বিভীষণকে একথা বলে তিরস্কার করেছেন মেঘনাদ।
দেবতাদের আশীর্বাদের এবং বিভীষণের সহায়তায় শত শত প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ল²ণ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে আসেন। সেখানে পূজারত নিরস্ত্র মেঘনাদকে যুদ্ধে আহŸান জানান ল²ণ। এসময় অকস্মাৎ যজ্ঞাগারের প্রবেশদ্বারে বিভীষণকে দেখে সমস্ত কিছু বুঝতে সমর্থ হন মেঘনাদ। তখন মেঘনাদ চোরের মতো ল²ণকে রাক্ষসপুরীতে আনার জন্য বিভীষণকে ভর্ৎসনা করে উক্ত কথাটি বলেন।
২ ‘মৃগেন্দ্রকেশরী, কবে, হে বীর কেশরী, সম্ভাষে শৃগাল মিত্রভাবে’ কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘মৃগেন্দ্রকেশরী, কবে, হে বীরকেশরী, সম্ভাষে শৃগালে মিত্রভাবে’Ñ এ কথাটি দ্বারা মর্যাদাসম্পন্ন কারো সাথে যে নিচুস্তরের বন্ধুত্ব হতে পারে না, সেটিই বোঝানো হয়েছে।
ল²ণকে হত্যার উদ্দেশ্যে মেঘনাদ অস্ত্রাগারের পথ ছাড়তে বললে বিভীষণ জানান যে, তিনি এ কাজ করতে পারবেন না। কেননা, তিনি রামের আজ্ঞাবহ বলে তাঁর পক্ষে রামের বিরুদ্ধে কাজ করা সম্ভব নয়। তার এ উত্তর শুনে মেঘনাদ, বিভীষণকে স্মরণ করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন যে লঙ্কার শ্রেষ্ঠ বংশে তাঁর জন্ম। অথচ নিম্নশ্রেণির রামের দাস বলে নিজেকে কলঙ্কিত করলেন তিনি। এমতাবস্থায় মেঘনাদ বিভীষণকে এটাও মনে করিয়ে দেন যে, সিংহের কখনো শেয়ালের সাথে বন্ধুত্ব হয় না।
৩ ‘কী দেখি ডরিবে এ দাস হেন দুর্বল মানবে’ কথাটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ‘কী দেখি ডরিবে এ দাস হেন দুর্বল মানবে’উক্তিটি দ্বারা মেঘনাদের বীরত্বের কথা বোঝানো হয়েছে।
লঙ্কার শ্রেষ্ঠবীর মেঘনাদকে যজ্ঞরত অবস্থায় ল²ণ যুদ্ধে আহŸান করেন। অস্ত্রহীন মেঘনাদ যজ্ঞাগারের প্রবেশদ্বারে বিশ্বাসঘাতক বিভীষণকে দেখতে পেয়ে তাঁকে ভর্ৎসনা করেন। অস্ত্র নেয়ার জন্য দ্বার ছাড়তে বলেন। বিভীষণ পথ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে ইন্দ্রজিৎ মেঘনাদ তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, তিনি দেব-দৈত্য-নরের যুদ্ধে তাঁর বিজয় লাভের কথা। তিনি একথার মাধ্যমে বুঝিয়ে দেন যে, ল²ণের মতো দুর্বল মানবকে ভয় পাওয়ার মতো বীর তিনি নন।
৪ ‘হে পিতৃব্য, তব বাক্যে ইচ্ছি মরিবারে’Ñ মেঘনাদ কেন এ কথা বলেছেন?
উত্তর : রাক্ষসশ্রেষ্ঠ রাবণের ভাই বিভীষণ নিজেকে রামের দাস বলে পরিচয় দেয়া মেঘনাদ পরম দুঃখে একথা বলেছেন।
ল²ণকে উচিত শিক্ষা দিতে অস্ত্রাগারে যাওয়ার জন্য বিভীষণকে পথ ছাড়তে বলেন মেঘনাদ। বিশ্বাসঘাতক বিভীষণ পথ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। এছাড়াও বিভীষণ বলেন যে, তিনি রাঘবদাস। তাঁর পক্ষে রামের বিপক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। বিভীষণের এই লজ্জাজনক কথা শুনে মেঘনাদ দুঃখে মরে যাওয়ার ও ইচ্ছে পোষণ করেন।
৫ ‘হেন সহবাসে, হে পিতৃব্য, বর্বরতা কেন না শিখিবে?’উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : উক্তিটির মাধ্যমে মেঘনাদ বোঝাতে চেয়েছেন যে, ল²ণের মতো কপট ও হীনব্যক্তির সাহচর্যে থাকার কারণেই বিভীষণ বিশ্বাসঘাতকতার মতো বর্বরতা শিখেছেন।
মেঘনাদ বিভীষণকে বিভিন্নভাবে ভর্ৎসনা করলে তিনি জানান যে, লঙ্কার রাজার কর্মদোষে আজ সোনার লঙ্কার এ পরিণতি। আর এই পাপপূর্ণ লঙ্কাপুরীর প্রলয় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনি রামের পদাশ্রয় গ্রহণ করেছেন। একথা শুনে মেঘনাদ জানতে চান কোন ধর্মবলে তিনি দেশ জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা শিখলেন, তিনি পরিতাপের সঙ্গে বলেন যে, সঙ্গদোষের ফলে বিভীষণের এমন বর্বরতা শেখাই স্বাভাবিক।
৬ নাহি শিশু লঙ্কাপুরে, শুনি না হাসিবে এ কথাÑকেন বলা হয়েছে?
উত্তর : অস্ত্রহীন মেঘনাদের কাছে অস্ত্রসাজে সজ্জিত ল²ণের যুদ্ধ প্রার্থনা যে অত্যন্ত হাস্যকর সে কথাই এ উক্তিটি দ্বারা ব্যক্ত করা হয়েছে।
যজ্ঞরত মেঘনাদকে আক্রমণের জন্য ল²ণ তলোয়ার কোষমুক্ত করলে মেঘনাদ যুদ্ধসাজ গ্রহণের জন্য সময় প্রার্থনা করেন ল²ণের কাছে। তিনি ল²ণকে এ কথাও স্মরণ করিয়ে দেন যে, যুদ্ধে বীরের ধর্ম হচ্ছে সামনাসামনি যুদ্ধ করা। অস্ত্রসাজে সজ্জিতের সাথে নিরস্ত্রের যুদ্ধ হয় না। কিন্তু বীরের আচরণকে কলঙ্কিত করে ল²ণ জানান, তিনি যেকোনো কৌশলে শত্র“ হনন করতে চান। ল²ণের এই আচরণের কারণেই বলা হয়েছে যে, লঙ্কাতে এমন কোনো শিশু নেই যে, একথা শুনে হাসবে না।
পরীক্ষা-প্রস্তুতি যাচাই অংশ (অংংবংসবহঃ)
সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক
প্রশ্নÑ১ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আমাদের হিন্দু রাজকর্মচারীদের নির্দেশ দিন যাতে উপযুক্ত মর্যাদার সঙ্গে মৃতের সৎকার করা হয়। হতভাগ্য অদূরদর্শী কর্মফলভোগী পেশবা। নিজের ছেলেকে রণক্ষেত্রে অধিনায়ক করে পাঠিয়েছিল কুলগর্বের মোহে অন্ধ হয়ে। আর অক্ষম অবিবেচক রণোন্মাদ সেনাপতি রঘুনাথ দুঃসাহসকে প্রশ্রয় দিয়ে নিজে মরেছে, একটি নিষ্পাপ নিষ্কলঙ্ক মানব শিশুকে অকালমৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।
ক. অরিকে দমন করে যে, তাকে এক কথায় কী বলে? ১
খ. এ শিক্ষা, হে রক্ষোবর কোথায় শিখিলে? Ñএখানে কোন শিক্ষার কথা বলা হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার কোন বিষয়টির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের একটি নিষ্পাপ নিষ্কলঙ্ক মানব শিশুকে অকালমৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেÑ লাইনটি ‘বিভীষণের প্রতি
মেঘনাদ’ কবিতায় মেঘনাদের মৃত্যুকে নির্দেশ করে। মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. এক কথায় বলে অরিন্দম।
খ. এ শিক্ষা, হে রক্ষোবর কোথায় শিখিলে?Ñএখানে বিভীষণের বিশ্বাসঘাতক হওয়ার শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। কারণ বিভীষণ রাবণের অনুজ হওয়া সত্তে¡ও মেঘনাদকে বধ করার জন্য ল²ণকে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে নিয়ে এসেছেন।
রামের অনুজ ল²ণকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে মেঘনাদ যুদ্ধের সাজে সজ্জিত হওয়ার জন্য অস্ত্রাগারে প্রবেশ করতে চায়। কিন্তু বিভীষণ দ্বারা আগলে রাখে, মেঘনাদকে যেতে দেয় না। ‘মেঘনাদ’ তাকে ফিরে আসার প্রতিশ্র“তি দিয়ে বলে যে, ল²ণকে যুদ্ধে পরাজিত করে লঙ্কার সমস্ত কলঙ্ক কালিমা মুছে দেবেন। কিন্তু বিভীষণ পথ ছাড়ে না, মেঘনাদের সকল আবেদন, যুক্তিকে ব্যর্থসাধনা বলে অভিহিত করে। মেঘনাদের অনুরোধ রক্ষা করে রামচন্দ্রের শত্র“ হতে চান না বলে তিনি জানান। বিভীষণের এ ধরনের কথায় মর্মাহত হয়ে মেঘনাদ আলোচ্য উক্তিটি করেন।
টিপস্
গ. প্রথমে উদ্দীপকটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার পর মূল বিষয়টি অনুধাবন কর এবং তা থেকে কিছু বিষয় নির্দেশ কর। কোন বিষয়টি বিশেষভাবে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার কোন বিষয়টিকে বেশি প্রতিফলিত করে, সেটি চিিহ্নত কর। তারপর উত্তর লিখতে শুরু কর এবং উদ্দীপক ও কবিতার বিষয়টির সাদৃশ্য তুলে ধর।
ঘ. উদ্দীপকটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে এর ভিতরের অর্থ অনুধাবন এবং বোঝার চেষ্টা কর। উদ্দীপকের শেষ লাইনটির তাৎপর্য অনুধাবন কর এবং তা মেঘনাদকে হত্যার মূল কারণ চিিহ্নত কর। রামচন্দ্রের সাথে যুদ্ধে রাবণ তার ভাই কুম্ভকর্ণ এবং পুত্র বীরবাহুকে হারিয়ে মেঘনাদকে সেনাপতি নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ব্যাখ্যা করে এ প্রশ্নের উত্তর তৈরি করে লেখ।
প্রশ্নÑ২ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সব দুর্বলতা ঝেড়ে ফেলে আপনারা ভেবে দেখুন, কে বেশি শক্তিমান? একদিকে দেশের সমস্ত সাধারণ মানুষ, অন্যদিকে মুষ্টিমেয় কয়েকজন বিদ্রোহী। তাদের হাতে অস্ত্র আছে, আর আছে ছলনা এবং শাঠ্য। অস্ত্র আমাদেরও আছে, কিন্তু তার চেয়ে যা বড়, সবচেয়ে যা বড় আমাদের আছে সেই দেশপ্রেম এবং স্বাধীনতা রক্ষার সংকল্প।
ক. ‘মন্ত্র’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. হায়, তাত, উচিত কী তব/এ কাজ? এখানে কোন কাজের কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ?Ñব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের মূলভাব এবং ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় স্বর্ণলঙ্কার প্রতি মেঘনাদের অনুরাগ একসূত্রে গাঁথা।
মন্তব্যটি আলোচনা কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. ‘মন্ত্র’ শব্দের অর্থ শব্দ বা ধ্বনি।
খ. এখানে বিভীষণের জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব এবং জাতি জলাঞ্জলি দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করে রামানুজ ল²ণকে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে নিয়ে আসার কাজের কথা বলা হয়েছে।
‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতাটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ-কাব্যের’ ‘বধো’ (বধ) নামক ষষ্ঠ সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে। কবি এ অংশে বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ তাঁর নিজের পরিচয়, উদ্দেশ্য এবং ল²ণকে বিভীষণের সহায়তা করা উচিত-অনুচিত দিকগুলো চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। স্বর্ণলঙ্কাপুরীকে রামচন্দ্রের হাত থেকে বাঁচাতে এবং যুদ্ধজয় করতে মেঘনাদ দায়িত্ব গ্রহণ করে। যুদ্ধে যাওয়ার পূর্বে মেঘনাদ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে পূজা করতে যায়। সেখানে মায়াদেবী এবং বিভীষণের সহায়তায় শত্র“ ল²ণ প্রবেশ করে নিরস্ত্র মেঘনাদকে যুদ্ধের আহŸান জানায়। শত্র“কে পথ চিনিয়ে ঘরে নিয়ে আসা উচিত হয়েছে কিনা তাই জিজ্ঞাসা করেছেন মেঘনাদ তার পিতৃব্য বিশ্বাসঘাতক বিভীষণকে।
টিপস্
গ. উদ্দীপকটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার পর এর অর্থ বোঝার চেষ্টা করবে। তারপর উদ্দীপকের যে বিষয়টি আলোচ্য কবিতায় প্রতিফলিত বিষয়ের সাথে মিলে যায় সে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে উদ্দীপকের বিষয়ের সাথে মিলের দিকটি ব্যাখ্যা কর। তাহলেই প্রশ্নটি হয়ে যাবে।
ঘ. উদ্দীপকটি কয়েকবার পড়ে এর মূলভাব অনুধাবন কর। সে ভাবটি আলোচ্য ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার মূলভাবের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা কর। তারপর উদ্দীপকের ভাবটি কীভাবে আলোচ্য কবিতার মূলভাবকে প্রতিফলিত করেছে সে দিকটি সহজভাষায় উপস্থাপন কর। এ প্রশ্নের উত্তর করতে তুমি এ কবিতার মূলভাব এবং নামকরণের সহায়তা নিতে পার তাহলে উত্তর সহজ হবে।
প্রশ্নÑ৩ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সাহিত্যের ক্লাস। শরিফ খান স্যার নাটক পড়াচ্ছেন। তিনি সিরাজউদ্দৌলা নাটকের ‘সিরাজ’ চরিত্র-এর একটি সংলাপ উচ্চারণ করলেন। ভীরু প্রতারকের দল চিরকালই পালায়। কিন্তু তাতে বীরের মনোবল ক্ষুণœ হয় না। এমনি করে পালাতে পারতেন মীরমর্দন, মোহনলাল, বদ্রী আলী, নৌবে সিং। তার বদলে তাঁরা পেতেন শত্র“র অনুগ্রহ, প্রভূত সম্পদ এবং সম্মান। কিন্তু তাঁরা তা করেননি। দেশের স্বাধীনতার জন্য, দেশবাসীর মর্যাদার জন্য, তাঁরা জীবন দিয়ে গেছেন। স্বার্থান্ধ প্রতারকের কাপুরুষতা বীরের সংকল্প টলাতে পারে নি। এ আদর্শ যেন লাঞ্ছিত না হয়। দেশপ্রেমিকের রক্ত যেন আবর্জনার ¯ত‚পে চাপা না পড়ে। আমরা অভিভূত হয়ে হাততালি দিলাম। তিনি বললেন, এ শুধু নাটকের সংলাপ নয়, একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিকের অঙ্গীকার।
ক. ‘সুমিত্রা’র পুত্রকে কী বলা হয়েছে? ১
খ. “গতি যার নীচ সহ, নীচ সে দুর্মতি।”Ñব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মিল থাকলেও উদ্দীপকের মূলভাব এবং ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার মূলভাব এক নয়। মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. সুমিত্রার পুত্রকে বলা হয় সৌমিত্র।
খ. প্রশ্নে উলিখিত মন্তব্যটি মেঘনাদ বিশ্বাসঘাতক বিভীষণ এবং নরাধম ল²ণকে উদ্দেশ্য করে করেছেন।
মেঘনাদ বধ-কাব্যের ‘বধো’ (বধ) নামক ষষ্ঠ সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে। কবি এই অংশে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ তাঁর নিজের পরিচয়, উদ্দেশ্য এবং ল²ণকে বিভীষণের সহায়তা করা উচিত-অনুচিত দিকগুলো তুলে ধরেছেন। স্বর্ণলঙ্কাপুরীতে রামচন্দ্রের হাত থেকে বাঁচাতে এবং যুদ্ধজয় করতে মেঘনাদ দায়িত্ব গ্রহণ করে। যুদ্ধে যাওয়ার আগে মেঘনাদ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে পূজা করতে যায়। সেখানে মায়াদেবী এবং বিভীষণের সহায়তায় শত্র“ ল²ণ প্রবেশ করে নিরস্ত্র মেঘনাদকে যুদ্ধের আহŸান করে। তখন মেঘনাদ অস্ত্রাগারে প্রবেশ করে যুদ্ধের সাজ গ্রহণের জন্য বিভীষণকে অনুরোধ করেন। কিন্তু বিভীষণ দ্বার রোধ করে থাকে। অন্যদিকে ল²ণ মহারথী প্রথা অমান্য করে অন্যায়ভাবে মেঘনাদকে আঘাত করে। তখন দুঃখ করে মেঘনাদ আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
টিপস্
গ. উদ্দীপকটি মনোযোগ দিয়ে পড় এবং মূলবক্তব্য অনুধাবন কর। তারপর উদ্দীপকে প্রতিফলিত বীরের মনোবল ও সাহসের সাথে আলোচ্য কবিতায় প্রতিফলিত মেঘনাদের সাহস ও মনোবলের তুলনামূলক আলোচনা উপস্থাপন কর। তাহলেই এই প্রশ্নের উত্তরটি সহজ হয়ে যাবে।
ঘ. উদ্দীপকটি পড়ে সত্যিকারের বীরের নীতি ও আদর্শ কী হওয়া উচিত তা অনুধাবন কর এবং আলোচ্য ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় মেঘনাদের সেসব বীরসূচক আচরণ ও নীতিবোধ ছিল কিনা তা ব্যাখ্যা কর। কাপুরুষ এবং বিশ্বাসঘাতকতার বিষয়টি প্রসঙ্গক্রমে ব্যাখ্যা করে মেঘনাদের বীরত্ব ও স্বদেশপ্রেমের দিকটি তুলে ধর। তাহলে এ প্রশ্নটির উত্তর সহজ হয়ে যাবে।